বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সারাদেশের আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রণ ও সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে আওয়ামীপন্থীরা। ১৪টি পদের মতো ১০টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী সমর্থিতরা। এর বিপরীতে বিএনপিপন্থীরা জিতেছে চারটিতে।
রোববার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন।
সাতটি সাধারণ আসনের মধ্যে চার পদে এবং সাতটি গ্রুপ আসনের ছয় পদে বিজয়ী হয়েছে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান নেতৃত্বাধীন সরকার সমর্থকদের সাদা প্যানেল। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থকদের নীল প্যানেল সাধারণ আসনে তিনটি এবং গ্রুপ আসনে একটি পদে জয় পেয়েছে।
সরকার সমর্থকদের সাদা প্যানেল থেকে সাধারণ আসনে বিজয়ীরা হলেন- আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা (১৭ হাজার ৪৩৩ ভোট), সৈয়দ রেজাউর রহমান (১৭ হাজার ৯৩ ভোট), মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান বাদল (১৬ হাজার ৮৪৪ ভোট), মো. রবিউল আলম বুদু (১৫ হাজার ২৭ ভোট)।
এই প্যানেলের গ্রুপ আসনে বিজয়ী ছয় প্রার্থী হলেন- ঢাকা অঞ্চলের আইনজীবী সমিতে (গ্রুপ-এ) আবদুল বাতেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর জেলার আইনজীবী সমিতিতে (গ্রুপ বি) মো. জালাল উদ্দিন খান, বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা ও সিলেট জেলা অঞ্চলের আইনজীবী সমিতিতে (গ্রুপ ডি) এ এফ মো. রুহুল আনাম চৌধুরী, বৃহত্তর খুলনা, বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চলের আইনজীবী সমিতিতে (গ্রুপ ই) আনিছ উদ্দিন আহমেদ সহিদ, বৃহত্তর রাজশাহী, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের আইনজীবী সমিতিতে (গ্রুপ এফ) মো. একরামুল হক এবং বৃহত্তর দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া ও পাবনা জেলার আইনজীবী সমিতিতে (গ্রুপ জি) মো. আব্দুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন।
সাধারণ আসনে বিএনপিপন্থীদের বিজয়ী তিন প্রার্থী হলেন- ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন (১৬ হাজার ৮১১ ভোট), ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল (১৫ হাজার ৯৬৫ ভোট) এবং অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন (১৪ হাজার ৭৯৬ ভোট)।
এই প্যানেল থেকে গ্রুপ আসনে একমাত্র বিজয়ী প্রার্থী হচ্ছেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার আইনজীবী সমিতিতে (গ্রুপ সি) এ এস এম বদরুল আনোয়ার। শিগগিরই ফলাফল গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে।
গত বুধবার সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। এতে সারাদেশে প্রায় ৫১ হাজার আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
উল্লেখ্য, প্রতি তিন বছর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় আইনজীবীদের সনদ প্রদানকারী ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের। করোনার কারণে ২০২১ সালের নির্বাচন পিছিয়ে করা হচ্ছে ২০২২ সালে।
২০১৮ সালের ১৪ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৪টি আসনের মধ্যে ১২টি আসনে জয়ী হয়েছিল আওয়ামী লীগ ও তাদের সমমনা আইনজীবীরা। অন্যদিকে বিএনপি ও তাদের সমমনারা পেয়েছিল মাত্র দুটি আসন।
চলতি বছরের ২১ মার্চ বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন নির্বাচনের গেজেট প্রকাশ করেন।
নির্বাচনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন ছাড়াও দেশের সব জেলা সদরের দেওয়ানি আদালত প্রাঙ্গণে একটি করে ভোটকেন্দ্র করা হয়। এছাড়া বাজিতপুর, ঈশ্বরগঞ্জ, দুর্গাপুর, ভাঙা, চিকন্দি, পটিয়া, সাতকানিয়া, বাঁশখালী, ফটিকছড়ি, সন্দ্বীপ, হাতিয়া, নবীনগর ও পাইকগাছা দেওয়ানী আদালতগুলোর প্রত্যেকটির অঙ্গনে একটি করে ভোটকেন্দ্রে ভোট নেওয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।