Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জ্ঞানবাপী মসজিদে শিবলিঙ্গ থাকার দাবি গুজব

মসজিদ কমিটির দাবির পর পরবর্তী শুনানি ৩০ মে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ মে, ২০২২, ১২:১০ এএম

জ্ঞানবাপি মসজিদ প্রাঙ্গণে একটি শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে বলে দাবি জানিয়ে মসজিদ কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে শ্রিংগার গৌরি পুজো করার অনুমতি দিওয়ার আর্জি জানায় হিন্দুপক্ষ। তবে তাদের এ আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পাল্টা আবেদন জানিয়েছিল মসজিদ কমিটি। বারাণসী জেলা আদালত গত বৃহস্পতিবার অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ বা জ্ঞানবাপী সমজিদ কমিটির রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি আগামী ৩০ মে পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিনও ধার্য হয়েছে ৩০ মে।

মসজিদ প্রাঙ্গণে একটি শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে হিন্দুপক্ষ। তারই ভিত্তিতে মসজিদ কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে শ্রিংগার গৌরি পুজো করার অনুমতি দিওয়ার আর্জি জানান হয়েছে। হিন্দুদের এই আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পাল্টা আবেদন জানিয়েছিল মসজিদ কমিটি। এদিন শুনানির সময় শুধুমাত্র আবেদনকারী, আইনজীবী, মামলার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িতদের আদালতের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। প্রায় দুঘণ্টা শুনানি হয়।
মসজিদ কমিটির যুক্তি ছিল হিন্দু পক্ষের মামলাটি রক্ষণাবেক্ষণযোগ্য নয়। সিভিল প্রসিডিউর কোটের আদেশ ৭ নম্বর বিধি ১১ নম্বর ধারায় এটি প্রত্যাখ্যান করার আর্জি জানান হয়েছে। বলা হ.য়েছে মানুষের অনুভতি জাগাতে শিবলিঙ্গ নিয়ে গুজব ছড়ান হয়েছে। মসজিদ কমিটি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, শিবলিঙ্গের অস্তিত্ব শুধুমাত্র কথিত। এখনও এর কোনও গ্রহণযোগ্যতা বা প্রামাণ্য তথ্য নেই। কমিটির পক্ষ থেকে আরো বলা হয়েছে, গুজবের ফলে জনসাধারণের মধ্যে অশান্তি ও অস্বস্তি বাড়ছে। মসজিদ কমিটি উপাসনা আইনের উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের কথাও উল্লেখ করেছে।
মুসলিম পক্ষের আইনজীবী অভয়নাথ যাদব মামলাটি খারিজ করার জন্য বেশ কয়েকটি যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। উভয় পক্ষই আদালতে নিযুক্ত সমীক্ষা কমিটির ভিডিওগ্রাফির রিপোর্ট হাতে পেয়েছে। বারানসী আদলতের পর্যবেক্ষণ জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলা অত্যান্ত সংবেদনশীল বিষয়। এদিন দুই ব্যক্তি- যাদের সঙ্গে মামলার তেমন কোনো যোগ নেই তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এক আইনজীবীকেও আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়।
জ্ঞানবাপী মামলা- ১৯৯১ সালে বারাণসী আদালতে দায়ের করা একটি পিটিশনে দাবি করা হয়েছিল ১৬ শতকের কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একটি অংশ ভেঙে তৎকালীন মোঘল সম্রাট ওরঙ্গজেবের নির্দেশে জ্ঞানবাপী সমজিদ তৈরি করা হয়েছিল। সেই কারণ দেখিয়ে আবেদনকারী স্থানীয় পুরোহিতরা জ্ঞানবাপী মসজিদে নতুন করে প্রার্থনা করার আবেদন জানিয়ে মামলা দায়ের করেছিল। ২০১৯ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট এই মামলার পাশাপাশি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার সমীক্ষার ওপরেও স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। গতমাসে বারাণসীর জেলা আদালতে স্থানীয় পাঁচ মহিলা দ্বারস্থ হয়। পশ্চিম দেওয়ালের পিছনে উপাসনা করতে দেওয়ার অনুমতি চেয়ে মামলা দায়ের করে। তারপই জ্ঞানবাপী মসজিদ কমপ্লেক্সের একটি ভিডিওগ্রাফির সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সূত্র : এশিয়ানেট নিউজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ