Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আজমীর শরীফের জায়গাটিও নাকি শিব মন্দির ছিল, দাবি হিন্দু সংগঠনের

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ মে, ২০২২, ৪:০৭ পিএম

ভারতের উত্তরপ্রদেশের জ্ঞানবাপী মসজিদ, রাজধানী দিল্লির কুতুব মিনার, আগ্রার তাজমহলের পর এবার আজমীরের বিখ্যাত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর দরগার এই স্থানটিও নাকি একসময় হিন্দু মন্দির ছিল। এমনটিই দাবি করেছে ভারতের রাজস্থান রাজ্যের এক হিন্দু সংগঠন। -রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড, ওয়ান ইন্ডিয়া

এমনকি ওই সংগঠনটি খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর দরগায় খননকার্য চালানোর দাবিও জানিয়েছে। শুক্রবার (২৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড এবং ওয়ান ইন্ডিয়া। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজমীরের বিখ্যাত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর দরগাকে হিন্দু শিব মন্দির বলে দাবি করা রাজস্থানের ওই সংগঠনের নাম মহারানা প্রতাপ সেনা। হিন্দুত্ববাদী এই সংগঠনের দাবি, মঈনুদ্দিন চিশতীর দরগার দেওয়ালে তারা বিভিন্ন হিন্দু সংস্কৃতির প্রতীক দেখতে পেয়েছেন। এমনকি দরগার দেওয়াল ও জানালায় নাকি স্বস্তিক চিহ্নও দেখা গেছে।

মহারানা প্রতাপ সেনা নামের ওই সংগঠনটির নেতা রাজ্যবর্ধন সিং পারমারের দাবি, ‘খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর দরগা আসলে প্রাচীন মন্দির। দেওয়াল ও জানালায় স্বস্তিক-সহ হিন্দু ধর্মের বহু প্রতীক আমরা দেখেছি। আমরা চাই পুরাতত্ত্ব বিভাগ ওই দরগায় গিয়ে সার্ভে করুক।’ যদিও খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী দরগা কর্তৃপক্ষ এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা পরিষ্কার করেই জানিয়েছে যে, খাজার দরগার কোথাও কোনো স্বস্তিক চিহ্ন নেই। সুফি সাধক মঈনুদ্দিন চিশতীর এই দরগা আজমীরে প্রায় ৮৫০ বছর ধরে স্বমহিমায় বিরাজ করছে। শুধু মুসলিমরাই নন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হিন্দুরাও এসে এই দরগায় প্রার্থনা করেন। সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ার উদ্দেশেই এই ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।

অন্যদিকে দরগার খাদিমদের সংগঠন আঞ্জুমান সাইয়্যাদ জাদগানের প্রধান মঈন চিশতী জানিয়েছেন, দরগায় কোথাও কোনো স্বস্তিক চিহ্ন নেই, এটি আমরা দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি। সাড়ে আটশো বছর এই দরগা এখানে দাঁড়িয়ে আছে। আজ পর্যন্ত এই ধরনের কোনো প্রশ্ন কেউ তোলেনি। আজ ভারতে এমন এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যা আগে কোনোদিন দেখা যায়নি। তিনি বলেন, খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর দরগায় প্রার্থনা করা কোটি কোটি মানুষের ধর্মীয় তাৎপর্য নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তাদের অনুভূতিতে আঘাত লাগে। সরকারকে এই ধরনের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানানোরও আহ্বান জানান মঈন চিশতী। এছাড়া খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর দরগাকে হিন্দু মন্দির হিসেবে দাবি করাকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা বলে অভিহিত করেছেন দরগার সচিব ওয়াহিদ হোসাইন চিশতী।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, অযোধ্যার রামমন্দির নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর থেকেই দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে হিন্দুত্ববাদীরা যেন অতিউৎসাহী হয়ে উঠেছেন। জ্ঞানবাপী মসজিদ, কুতুব মিনার, তাজমহলের মতো ইসলামিক স্থাপনা হিন্দু নিদর্শন বলে দাবি করা হচ্ছে। এবার খাজা মইনুদ্দিন চিশতীর দরগাও সেই তালিকায় যোগ হলো।



 

Show all comments
  • ABU ABDULLAH ২৭ মে, ২০২২, ৪:১০ পিএম says : 0
    একটি কথা মনে রাখতে হবে যে, হিন্দু মন্দির বা যে কোনো না-পাক জায়গায় মুসলমানদের নামাজ জায়েজ নয় সুতরাং ইহা বিলকুল অসম্বভ যে মুসলমানরা হিন্দু মন্দির ভেঙে মসজিদ বানাবে ইহা হিন্দুস্থান হইতে মুসলমান হঠানোর একটি ছলচাতুরি মাত্র
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ