পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গত মঙ্গলবার ছাত্রদলের মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় ৪০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী। তিনি বলেন, একটি মামলা রজু করা হয়েছে। সম্পদহানী, জাতীয় সম্পদ নষ্ট, পরিকল্পিত ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা নষ্ট, সিনেট শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা এবং নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত কর্মীদের ওপর হামলার দায়ে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের ৩৫ জন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন হচ্ছিল। এ সময় একদল দুষ্কৃতকারী লাঠি, রড ও নানা ধরনের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঢাকা মেডিকেলের বহির্বিভাগের সামনে এক জোট হয়ে নির্বাচন বানচাল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত করতে অপতৎপরতা শুরু করে। বিষয়টি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানালে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখান থেকে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, গত ২৪ মে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুনরায় শিক্ষা ভবনের সামনের দিক থেকে ৩০০-৪০০ জন দুষ্কৃতকারী কার্জন হলের গেট দিয়ে জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় গেটের নিরাপত্তা প্রহরী কামাল হোসেন তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁর মাথায় লাঠি ও রড দিয়ে আঘাত করতে গেলে তিনি হাত দিয়ে তা ঠেকানোর চেষ্টা করেন। এতে তাঁর হাত জখম হয়। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের আনা-নেওয়ার কাজসহ ও নিয়মিত সেবা প্রদান করা দুটি বিআরটিসি বাস ভাঙচুর করে জাতীয় সম্পদের বিনষ্ট করা হয়।
মামলার বিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি মওদূত হাওলাদার ইনকিলাবকে বলেন, মঙ্গলবার রাতে দিনব্যাপী ছাত্রলীগ ছাত্রদলের দাঙ্গা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নষ্ট করা, সরকারি কাজে বাধাদান, নিরাপত্তা কর্মীদের মারধর, জাতীয় সম্পদ নষ্ট করা ও বাস ভাংচুর করার অভিযোগে অজ্ঞাতনামায় ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ঘটনায় ২ জনকে আমরা আটক করে কোর্টে চালান করেছি। অজ্ঞাতনামা আসামিদের কীভাবে চিন্তিত করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদেরকে অনেকগুলো ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দিয়েছে, আমরা সেগুলো দেখে তদন্ত করে এগোব।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।