Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বন্যার পানি কমলেও নগরবাসী ময়লা-আবর্জনায় অতিষ্ট

দুর্গন্ধে বাসায় ফিরতে পারছে না ভুক্তভোগীরা সিসিকের খাবার পানি মুখে দেয়া যাচ্ছে না

ফয়সাল আমীন, সিলেট থেকে | প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০২২, ১২:০৮ এএম

টানা বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলের কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে ভয়াবহ বন্যার কবলে সিলেট। সময়ের বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। তবে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে বন্যা কবলিত এলাকায় বেড়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও। নগরের বেশির ভাগ অংশ থেকেই নেমে গেছে পানি। সুরমা নদীর পানিও এখন বিপৎসীমার নিচে। তবে পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি নগরবাসীর। একদিকে পানিতে পচা দুগর্ন্ধ অপরদিকে নগরীর অলি গলির রাস্তায় ছোট বড় গর্তে চরম দুভোর্গে পড়েছেন পথচারীরা। সেই সাথে কাড়ামাটির গড়াগড়িতে সড়কে তৈরী হয়েছে অস্বস্থিকর পরিস্থিতি। হাঁটা চলাচলে উপযোগীতা হারিয়েছে কাদামাটিতে পাকা রাস্তাগুলো। যে কারনে নতুন এক ভোগান্তির শিকারে নগরবাসী।

নগরবাসীর ভোগান্তির দূর করতে গত মঙ্গলবার থেকে কাজ শুরু করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। গতকাল দিনভর শাহজালাল উপশহরে চালানো হয়েছে এ কার্যক্রম। ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের পাশাপাশি ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে এলাকা জীবানু ও দুর্গন্ধমুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন করপোরেশনের কর্মীরা। গতকাল সকালে শাহজালাল উপশহর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ওই এলাকার ভেতরের বিভিন্ন ব্লকের সড়কগুলো বেহাল। সড়কের বিভিন্ন স্থানে কাদামাটিতে পথচারীদের জুতা আটকে যাচ্ছিল। পানিতে ভেসে আসা খালি বোতল, পলিথিনের ব্যাগ, পাইপ, বস্তা, গাছের ডাল সড়কের পাশেই জড়ো হয়ে থাকতে দেখা গেছে। সড়কের জমে থাকা পানিগুলো কালো রং ধারণ করেছে। এসব পচা পানি থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। শাহজালাল উপশহর এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, পুরো এক সপ্তাহ বন্যায় একধরনের ভোগান্তির মধ্যে ছিলাম। এখন পানি নেমে আরেক ভোগান্তিতে পড়েছি। পচা পানিও ময়লা-আবর্জনার উৎকট গন্ধ। হেঁটে চললে শরীরে নোংরা পানি ছিটিয়ে পড়ছে। এ পানি শরীরে লাগলেই শুধু চুলকায়। ইতোমধ্য বেশ কয়েকজনের শরীরে চর্মরোগ দেখা দিয়েছে। অপরদিকে, রিকসা কিংবা গাড়িতে চড়লে সড়কের খানাখন্দের কারণে সমস্যা হচ্ছে। আর তো আছেই।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান ইনকিলাবকে জানান, ইতিমধ্যে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বন্যাকবলিত সব এলাকায় এভাবে অভিযান চলবে। এদিকে, বন্যার পানি নামলেও বাসায় ফিরতে পারছেন না অনেকে। যেসব এলাকায় পানি উঠেছিল সেসব এলাকায় তীব্র দুর্গন্ধ দেখা দিয়েছে। বাসাবাড়ি থেকে পানি নেমে গেছে। সড়কের বেশির ভাগ অংশেও পানি নেই। তবে কিছু এলাকার সড়কে এখনও ময়লা ও দুর্গন্ধ যুক্ত পানি রয়ে গেছে।

নগরের উপশহর এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম জানান, ‘নগরের ড্রেনগুলোর আবর্জনা আর স্যুয়ারেজ সিস্টেমে সমস্যার কারণেই এত দুর্গন্ধ। না হলে বন্যার পানিতে এত দুর্গন্ধ হতো না। পানি নেমে গেলেও দুর্গন্ধ কমাতে সিটি করপোরেশনের এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেই।’ সিটি করপোরেশনের সরবরাহকৃত পানিতেও প্রকট দুর্গন্ধ জানিয়ে নগরের মাছুদিঘির পাড় এলাকার বাসিন্দা অনিল পাল বলেন, ‘এসব পানি খাওয়া তো দূরের কথা হাতেও নেয়া যায় না, এমনই দুর্গন্ধ।’

সিলেট সিটি করপোরেশন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, ‘সাকার মেশিন দিয়ে পুরো নগর পরিষ্কার করা হবে। এ জন্য পানি পুরোপুরি নামতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ