মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আল কায়দা নয়। নয় মুজাহিদিন। বরং বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল জামাত মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। বাংলা-সহ সীমান্তবর্তী চার রাজ্যকে জামাত সদস্যরা করিডর হিসাবে ব্যবহার করছে। তারপর দক্ষিণের তিন রাজ্যকে নিরাপদ আশ্রয় করছে বলে মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট। গোয়েন্দা সূত্রে খবর মিলতেই সাত রাজ্যকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে বলে সূত্রের খবর। বাংলাদেশি বাসিন্দাদের গতিবিধির উপর সর্বক্ষণ নজর রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বাংলায় বেশ কয়েকটি ঘটনার সঙ্গে জামাতের যোগ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)। মুর্শিদাবাদ-সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা থেকে জামাত ঘনিষ্ঠদের গ্রেফতারও করেন গোয়েন্দারা। তাদের জেরা করেই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। তাতে কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়িয়েছে মন্ত্রণালয়ের কর্তাদের। সূত্রের খবর, যেহেতু বাংলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা নজরদারি জোরদার করেছেন তাই সেখান থেকে পাততাড়ি গোটানোর কাজ করছে জামাত। বরং দক্ষিণ ভারতের তিন রাজ্য কেরল, তামিলনাড়ু ও কর্নাটককে নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে বেছে নিয়েছে তারা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানাচ্ছে, বাংলা ছাড়াও উত্তর-পূর্ব ভারতের বাংলাদেশ লাগোয়া তিন রাজ্য ত্রিপুরা, মেঘালয় ও অসম দিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছে জামাত। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে দেশে প্রবেশ করেই সটান চলে যাচ্ছে দক্ষিণের তিন রাজ্যে। কারণ, এই তিন রাজ্যে বঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকরা কাজ করেন। মূলত ইমারতি শ্রমিক, সোনার কারিগর, দোকান ও রেস্তোরাঁর কর্মচারীর কাজ করেন। সেখানে কাজ পেতেই স্থানীয় ভাষা শিখে নেয় শ্রমিকরা। এখানেই বাংলাদেশ থেকে আগতরা সুবিধা পাচ্ছে বলে সূত্রটি জানাচ্ছে। যেহেতু দক্ষিণ ভারতীয়রা পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশিদের কথা বলার ফারাক বুঝতে পারে না, তাই সেখানেই জামাত জঙ্গিরা ডেরা বাঁধছে বলে জানতে পেরেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে।
সম্প্রতি তথ্যপ্রমাণ-সহ এই সাত রাজ্যকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। সেখানে ওপার বাংলা থেকে আসা বাসিন্দাদের উপর নজরদারি চালানোর কাজে ঢিলেমি চলবে না বলে কড়া নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যদিও মন্ত্রণালয়ের কোনও কর্তা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।