মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে একুশের বিধানসভা ভোটের আগে জেলায় জেলায় শুরু হয় যোগদান মেলা। ‘জয়শ্রী রাম’ বলে পালা বদলের স্বপ্নে বিভোর হয়ে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নিতে শুরু করেছিলেন বিভিন্ন দলের নেতারা। নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পরাজয়ের পর এবার শুরু হয়েছে উলটো স্রোত। দল বদলকারীরা আবারও ফিরে যাচ্ছেন নিজের ঘরে। পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে গেরুয়া শিবিরের এই শোচনীয় অবস্থার জন্য এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেই দায়ী করছেন দলের কর্মী থেকে নেতারা। পুরোনো পোড় খাওয়া নেতা-কর্মীদের বিশ্বাস না করার ফল এখন ভুগতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করছেন কর্মীরা। ভারতের উনিশের লোকসভা ভোটের আগ মুহূর্তে মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূলের ভাঙন শুরু হয়। লোকসভায় ১৮টি আসন জেতার পর পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিজেপির পক্ষে ওঠা হাওয়ায় গা ভাসিয়ে একের পর এক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সোনালী গুহ, দিবেন্দু বিশ্বাস,সব্যসাচী দত্তর মতো হেভিওয়েটরা তৃণমূল ত্যাগ করতে থাকেন। শুধু তাই নয় বিমানের চার্টাড ফ্লাইট ভাড়া করে কলকাতা থেকে দিল্লি নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করানো হয়। একুশের ভোটের দামামা বেজে যাওয়ার পর জেলায় জেলায় যোগদান মেলা করে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ, কৈলাশ বিজয় বর্গীয়,অরবিন্দ মেনন প্রতিদিন বলতেন, ‘এত জন তৃণমূল বিধায়ক-নেতা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।’ শুধু তাই নয় বিজেপি কত আসনে জিতবে তার আগাম ভবিষৎবানীও শুরু করেন তারা। বিধানসভা ভোটের প্রতিটি পর্ব শেষ হওয়ার পরই কৈলাস সাংবাদিক সম্মেলন করে বলতে থাকেন, তারা কত আসনে তৃণমূলের থেকে এগিয়ে গেলেন। কিন্তু ভোটের ফল বের হওয়ার পর সব আস্ফালনই শুন্য হয়। কেন্দ্রীয় তিন নেতা বঙ্গ বিজেপির নেতা-কর্মীদের ডুবিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়েন। একুশের মে মাসে রাজ্যে নতুন সরকার গঠন পর থেকেই ঘুরে যায় খেলা। বলতে গেলে মুকুল রায়ের দলবদলের পর থেকেই বিজেপি শিবিরে ভাঙন শুরু হয়েছে। মুকুলের পর আরও তিন বিধায়ক- বিষ্ণুপুরের তন্ময় ঘোষ, বাগদার বিশ্বজিৎ দাস ও কালিয়াগঞ্জের সৌমেন রায় নাম লেখান তৃণমূলে। তবে এই চারজনের ক্ষেত্রেই তৃণমূলে ফেরা ছিল ঘরে ফেরা। চলে যান বাবুল সুপ্রিয়, রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী, বিজেপির সহসভাপতি কংগ্রেস থেকে আসা জয়প্রকাশ মজুমদার। বিজেপিতে যাওয়া পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মণ্ডলও দাবি করছেন, তিনি সবসময় তৃণমূলেই ছিলেন। আর এরপরেই নবতম সংযোজন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। সম্প্রতি তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে ছিলেন, ৭-৮জন বিজেপি বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন। অপরদিকে, রাজ্যের মন্ত্রী তথা হাবড়ার তৃণমূল বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাবি, আগামী এক বছরে মধ্যে বিধানসভায় বিরোধী দলের মর্যাদা হারাবে বিজেপি। একুশের বিধানসভা ভোটের পরই বিজেপির প্রবীন নেতা তথাগত রায় দলের কেন্দ্রীয় তিন নেতাকে টার্গেট করে বলেছিলেন,‘দল দালালদের জন্য কোল পেতে দিয়েছিল। গলবস্ত্র হয়ে তাদের এনেছিল। যারা আর্দশের জন্য বিজেপি করত তাদের বলা হয়েছিল, এতবছর ধরে কি করেছেন, আমরা আঠারোটা সিট এনেছি। এখন ভাঁড়ামো করলে হবে? আজকে বিজেপির শোচনীয় পরিণতি এই সবের জন্যই।’ দলবদলকারীদের কোনও রকম পরীক্ষা ছাড়া দলে নেওয়াটা ভুল হয়েছিল বলে স্বীকার করে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সহসভাপতি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন,‘ প্রথম ভুল চিটফাণ্ডে জড়িত থাকা মুকুল রায়কে দলে নেওয়া। জিনিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।