Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খুলনা শিপইয়ার্ডে দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাগবোট নির্মাণ কাজ উদ্বোধন

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৩ মে, ২০২২, ৬:১৩ পিএম

খুলনা শিপইয়ার্ডের সফলতার মুকুটে যুক্ত হতে যাচ্ছে আরও একটি স্বর্ণ পালক। পায়রা সমুদ্র বন্দরের জন্য এমন দুটি টাগবোট এখানে নির্মাণ করা হবে যা শক্তি ও সক্ষমতায় হবে বাংলাদেশে অদ্বিতীয়।

আজ সোমবার দুপুরে খুলনা শিপইয়ার্ডে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে টাগবোট দুটি নির্মাণ কাজের কিল লেইং করেন পায়রা সমুদ্র বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল (বিএন)। খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর এম সামছুল আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার এন্ড মেরিন) কমডোর এম মামুনুর রশীদসহ শিপইয়ার্ডের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

কিল লেয়িং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, স্বাধীনতার পরপরই নৌপথের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বঙ্গবন্ধু এদেশে জাহাজ নির্মাণ শুরু করেন। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বাংলাদেশ তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেতে যাচ্ছে। তিনি দক্ষিণাঞ্চল তথা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের কথা চিন্তা করে পায়রা বন্দর স্থাপন করেছেন। পায়রা বন্দরের মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। অচিরেই এটি দেশের আমদানী-রপ্তানির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হতে যাচ্ছে। এই বন্দরকে কেন্দ্র করে এ অঞ্চলে প্রচুর দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসছে। খুলনা শিপইয়ার্ডের জাহাজ নির্মাণের ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস রয়েছে উল্লেখ করে মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, ভবিষ্যতেও পায়রা বন্দর ও খুলনা শিপইয়ার্ড পারস্পরিক উন্নয়নে এক সাথে কাজ করবে।

খুলনা শিপইয়ার্ড সূত্রে জানা গেছে, টাগবোট দুটির ক্ষমতা হবে ৭০ টন বিপি (বোলার্ড পুল)। কাজ শেষ হলে এ দুটোই হবে বাংলাদেশে এ যাবৎকালে নির্মিত সবচেয়ে বেশি বোলার্ড পুল ক্ষমতাসম্পন্ন টাগবোট। সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ টাগ বোট দুইটিতে অত্যাধুনিক মেশিনারী ও যন্ত্রপাতি সংযোজিত করা হবে। এটা আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় ও বন্দরসমূহে যাতায়াত করতে সক্ষম। টাগ বোটসমূহ বন্দরে আগত যে কোন জাহাজের বাথির্ং/আন বার্থিং, টোউ, পুশ/পুল অপারেশন ছাড়াও ফায়ার ফাইটিং, অন্য জাহাজের দুর্ঘটনাকালীন সহযোগিতার ইত্যাদি জরুরি কাজ সম্পাদনে ব্যবহৃত হবে। বোট দুইটি বন্দরের মাদার ভেসেল নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনাসহ বিভিন্ন অফশোর সাপোর্ট কার্যাবলী সম্পাদনে সক্ষম হবে, যা বন্দরের সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি করবে। এছাড়া পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বন্দরে পরিণত করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। সর্বোপরি দেশে নির্মিত প্রথম ৭০টন বোলার্ড পুল টাগ বোট হিসেবে এটা খুলিশি তথা দেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পের মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। টাগ বোটদ্বয আন্তর্জাতিক ক্লাসিফিকেশন সোসাইটি ব্যুরো ভেরিটাস (ফ্রান্স) এর নীতিমালা অনুসরণ করে নির্মাণ করা হবে।

সূত্র আরও জানায়, বর্তমানে বাংলাদেশের সাধারণ টাগবোটগুলোর ক্ষমতা ২০ থেকে ২৫ টন বিপি। দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোতে এবং অভ্যন্তরীন নৌ রুটে বড় বড় ফেরি টানাতে এ ধরণের টাগবোট ব্যবহার হয়। দেশের বেসরকারি কয়েকটি জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান টাগবোট নির্মাণ ও বিদেশে রফতানী করে থাকে। তবে সেগুলো শক্তি ও সক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উদ্বোধন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ