মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে সব ধরনের জ্বালানির মূল্য কমেছে। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি কমাতে দেশটিতে ডিজেল ও পেট্রলে শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন দেশটির অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। শনিবার জ্বালানিতে এক ধাক্কায় অনেকটা শুল্ক কমিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। গ্যাসের মূল্য হ্রাসের ঘোষণাও এসেছে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুসারে, আমদানি করা তেলের ওপর থেকে আবগারি শুল্ক কমানো হয়েছে। ভর্তুকি দেওয়া হবে গ্যাসেও।
নির্মলা সীতারামন এক টুইট বার্তায় জানান, পেট্রলে ৮ রুপি ও ডিজেলে ৬ রুপি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে পেট্রলের দাম লিটার প্রতি সাড়ে ৯ রুপি এবং ডিজেলের লিটারপ্রতি ৭ রুপি কমবে।
এছাড়া উজ্জ্বলা গ্যাস সিলিন্ডারে ২০০ রুপি করে ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন নির্মলা। এই সুবিধা পাওয়া যাবে বছরের ১২টি সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে। এর ফলে ৯ কোটি গ্রাহক উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। নতুন দাম শনিবার মধ্যরাত থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দাবি, এ সিদ্ধান্তের ফলে মানুষের জীবনযাত্রা সহজ হবে এবং মাসিক বাজেটের উপর চাপ কমবে।
নির্মলার ঘোষণার পরই মোদির টুইট, আমাদের কাছে সবসময় সবার আগে মানুষ। আজকের সিদ্ধান্ত, বিশেষ করে পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত বহু ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করবে। আমাদের নাগরিকদের জীবনযাত্রা আরও সহজ করবে।
রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, উজ্জ্বলা যোজনা কোটি কোটি ভারতবাসীকে সাহায্য করছে। বিশেষ করে নারীদের। আজকের সিদ্ধান্ত নাগরিকদের মাসিক খরচ অনেকটা কমবে।
মোদি সরকারের অষ্টম বর্ষপূর্তির ঠিক প্রাক্কালে এ ঘোষণা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। লাগাতার জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির জেরে দীর্ঘদিন ধরেই গেরস্থের হেঁসেলে রীতিমতো আগুন লেগে আছে। যা মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষ তৈরি করছিল।
সূত্রের দাবি, পেট্রপণ্য ও রান্নার গ্যাসের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি মোদি সরকার সম্পর্কে বেশ বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে নাকি বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের কাছেও তেমন রিপোর্টই জমা পড়েছে। সরকারের অষ্টম বর্ষপূর্তির আগে যা একেবারেই ভাল বিজ্ঞাপন ছিল না সরকারের জন্য। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।