Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জ্ঞানবাপী মসজিদে নামাজ চালু রাখার নির্দেশ ভারতের হাইকোর্টের

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০২২, ১০:৫৪ এএম

ভারতের উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে মন্দির লাগোয়া জ্ঞানবাপী মসজিদ কমপ্লেক্সের পুকুর এলাকা সিলগালা থাকলেও মসজিদে নামাজ চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের হাইকোর্ট। মসজিদ কমিটির একটি পিটিশনের শুনানিকালে আজ মঙ্গলবার আদালত তাঁর পর্যবেক্ষণে এমন নির্দেশনা দেন। এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

মসজিদ কমপ্লেক্সের একটি পুকুরে গতকাল সোমবার ‘শিবলিঙ্গ’ পাওয়া গেছে দাবি করে আদালতে হিন্দুত্ববাদীরা পিটিশন দায়ের করলে স্থানীয় আদালত মসজিদের পুকুর এলাকা সিলগালা করার নির্দেশ দেন। স্থানীয় আদালতের নির্দেশে মসজিদ কমপ্লেক্সে জরিপ চালানোর সময় শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হয়।

মসজিদ কমপ্লেক্সে ভিডিও জরিপ বন্ধের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করেছে মসজিদটির কমিটির লোকজন।

শুনানিকালে মঙ্গলবার স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানতে চান, ‘মসজিদ কমপ্লেক্সের ঠিক কোন জায়গায় শিবলিঙ্গটি পাওয়া গেছে।’

উত্তর প্রদেশের সরকারি আইনজীবী তুষার মেহতা জবাবে বলেন, ‘আমরা এখনও বিস্তারিত রিপোর্ট দেখিনি।’ বিস্তারিত জেনে আসার জন্য একদিন সময় চান আইনজীবী।

আইনজীবী তুষার মেহতা বলেন, ‘যেখানে শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে, ওই জায়গাটি সিলগালা করে রাখা হয়েছে, কারণ মসজিদে আসা মুসল্লিরা সেখানে ওজু করতেন। ফলে নামাজে আসা কেউ শিবলিঙ্গ পাওয়া জায়গাটি পায়ে পাড়া দিতে পারেন।’

পরে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বারাণসী জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের উদ্দেশে বলেন, ‘যদি শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়ে থাকে, জায়গাটির সুরক্ষা করতে হবে। ওই এলাকাটির নিরাপত্তা দিতে হবে। তবে মুসল্লিদের মসজিদে আসা বন্ধ করে নয়।’

উল্লেখ্য, অযোধ্যায় রামের জন্মভূমি, কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির ও মথুরার শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমি, ভারতীয় হিন্দুদের প্রধান এই তিনটি উপাসনাস্থল নিয়েই বিতর্ক রয়েছে। কারণ হচ্ছে, তিন উপাসনাস্থলে তিনটি মসজিদের অবস্থান। কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, তিনটি উপাসনাস্থলের চরিত্র বদলে দিয়ে প্রাচীনকালে মুসলিম শাসকেরা সেখানে মসজিদ তৈরি করেছিলেন। অযোধ্যায় রামের জন্মস্থলে বাবরি মসজিদ, কাশীতে বিশ্বনাথ মন্দির ভেঙে জ্ঞানবাপী মসজিদ এবং মথুরায় শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থানে শাহি ঈদগাহ মসজিদ।



 

Show all comments
  • ইমরান হোসাইন ১৮ মে, ২০২২, ৩:১৬ পিএম says : 0
    ইসলামের ইতিহাস ও অন্য কোন ইতিহাসে এমন ধরনের কোন প্রমাণ নাই, যে মুসলিম শাসকদের দারা অন্য কোন বিধর্মীদের উপাসনালয় ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। বরং হিন্দুদের দারা তা হয়েছে এমন বহু প্রমাণ পাওয়া গেছে বা আছে। যথা বাবরিমসজিদ সহ অসংখ্য স্হাপনা... ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ