শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
বলো, তুমি আর কতটুকু পশু হবে!
তোমার ঐ হাত কতটুকু হিংস্র সুঠাম হবে?
ঐ মাধবীলতার মতো
নমনীয় আঙুল, ঐ চোখ ঐ চিবুক
কতখানি সর্বগ্রাসী হবে!
লুকানো অনাহার
আছে হাড়ের ভেতর, আছে রক্তে মাংসে
অসহায় পচন
জীবিত খুলির ভেতর বিক্ষোভ ফুঁসে ওঠে
পুষ্টিহীন করতলে ফিতাকৃমির বিচরণ।
বিক্ষত হৃৎপি-ের শেষতম স্পন্দনে
নিসর্গে নতজানু নিঃশ্বাসের উল্লাস
শৈশবের স্মৃতি
খুলে দেয় বুকের দরজা, শীতের বিকেলেÑ
ঝরাপাতাদের উচ্ছ্বাস।
আমি আর কতটুকু
প্রেমী হবো বলো, কতবার এলিয়ে দেবো শরীর
বিনিদ্র রাতে...!
কতটুকু বিষ ঢেলে দেবে ধর্ষণে দংশনে
কতখানি হিংস্র পাশবিক হবে উলঙ্গ ছোঁয়াতে।
অস্পৃশ্য অর্কিড
সায়্যিদ লুমরান
তুমি মুঠোবন্দি করো অর্কিডের ঘ্রাণঃ
সাতরঙা ঘুমভাঙা কোমল অর্কিড।
বিষবাস্প বুকে নিয়ে বেঁচে আছে যারা
দেয়ালের দেহ জোড়া ঝুলন্ত উদ্যানে;
তুমি চোখে বন্দি করো অর্কিডের রূপ
ফালিকাটা, বুকফাটা নক্ষত্রের মত।
আলোকবর্ষ দূরের প্রিয় হয়ে থাক
তোমার চোখের নীল ছায়া পথে পথে।
স্মৃতিরা পদক নিলে
হাসান আল মাহমুদ
পড়ার টেবিল, বইয়ের ভাঁজ
চৈতন্যের রোদ, এমনকি
নেই, কোত্থাও নেই
মননের গহনেও নেই।
কী আশ্চর্য তাই না!
এভাবে একদিন, নেই নেই করতেই তুমি
নেই হয়ে যাবে
স্মৃতিরা পদক নিলে
জগতের শ্রেষ্ঠ প্রতারক।
বিচ্ছেদের সূত্র খুঁজি
সুমন ইসলাম
কার্তিকের নৈঃশব্দ বিছানা ছেড়ে দেখো, মধ্যহ দুপুররাতে
নির্মল শিশিরভেজা পাতাদের ডালে ঝুলে থাকে বাদুরবৃত্তান্ত গল্প-
তাহাদের সহিষ্ণু ধ্বনির অন্তরালে পচাকদম ফুলগুলোর হূদস্পন্দনের
মাতামাতি কেবল ঘরের চাল গড়িয়ে গেলো। তখন ঘুমবুদ্ধের যন্ত্রণা বাড়ে,
তিনি যন্তর-মন্ত্রর উপদেশ ছুঁড়েন। তখন আমার কাছে কোনো শব্দই থাকে না।
আমি শুধু তোমার আমার মধ্যখানে বিচ্ছেদের সূত্র খুঁজি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।