পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে একই হলের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন ওই ছাত্রলীগ কর্মী। গতকাল রোববার রাতে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে বলে জানান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ছাত্রলীগ কর্মী।
অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ কর্মীর নাম সালাহউদ্দিন তারেক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এই শিক্ষার্থী বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনুসের অনুসারী। ইউনুস ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী।
অন্যদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম সিয়াম। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রেন্স ল্যাংগুয়েজ এন্ড কালচার বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে ভুক্তভোগী এই শিক্ষার্থী গণমাধ্যমকে জানান, শুক্রবার (১৩ মে) মধুর ক্যান্টিনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের প্রোগ্রাম ছিল। অসুস্থ থাকায় সে প্রোগ্রামে যেতে পারেনি সিয়াম। কিন্তু তারেক (অভিযুক্ত) থেকেই ছুটি নেয় সিয়াম। তারেক তাকে ছুটি দিলেও পরে রাতে ডেকে নেয় ছাত্রলীগের তথাকথিত গেস্টরুমে। গেস্টরুমে যেতে একটু দেরি হওয়ায় তাঁর উপর চড়াও হয় অভিযুক্ত তারেক।
সিয়াম বলেন, গেস্টরুমে ডেকেই আমাকে মুরগী হতে বলেন তারেক। আমি ইতস্তত বোধ করায় তিনি পায়ের জুতো খুলে আমার গায়ে মারে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমিও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, উনিও শিক্ষার্থী; সুতরাং আমাকে এরকম অত্যাচার করার অধিকার তো ওনার নাই। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ছাত্রলীগ কর্মী জানান, তারেক গেস্ট রুমে খুবই উগ্র আচরণ করে। সে প্রায়ই জুনিয়রদের গায়ে হাত তোলে। ওরে নিষেধ করলেও সে বাধা মানে না। এগুলো খুব খারাপ লাগে। এছাড়াও বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী বলেন, তারেক নিজের বন্ধুদেরই শাসন করতে চায়। সে এমন ভাব নিয়ে চলে যেন সে নিজেই ছাত্রলীগের সভাপতি বা সম্পাদক!
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন তারেক। অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা শাসন করি, আমরাই আবার আদর করি। সে (ভুক্তভোগী) আমাদের দূরের কেউ না। আমি এসব ঝামেলায় নাই, রাজনীতি করার ইচ্ছে আছে দীর্ঘ মেয়াদী। সুতরাং অতিরিক্ত কিছু করা থেকে সবসময়ই বিরত থাকি।
এ বিষয়ে বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনুস বলেন, এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট প্রফেসর ড. আব্দুল বাছির বলেন, এ বিষয়ে আমি জেনেছি। আমি এখন ঢাকার বাইরে আছি। হলে গিয়ে বিষয়টি দেখব।
প্রসঙ্গত, এর আগেও আবু ইউনুসের অনুসারীদের মধ্যে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল । চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি এই হলের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী আকতারুল ইসলামকে গেস্টরুমে যথাসময়ে উপস্থিত হতে না পারায় শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেছিলেন ২০১৯-২০ সেশনের তিন ছাত্রলীগ কর্মী। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করেছিল হল প্রশাসন। এছাড়াও,গত বছরের নভেম্বরে এক শিক্ষার্থীকে দুই ছাত্রলীগ কর্মী মারধর করেছিল।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।