মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কোভিড আক্রান্ত হলে রোগি এবং আশেপাশের মানুষেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আবার উপসর্গ তীব্র না হলে সেই আতঙ্ক অনেকটাই চলে যায়। তবে গবেষকরা এখন বলছেন, সবক্ষেত্রে বিষয়টি একইরকম হতে নাও পারে। ব্রেইন স্ক্যান করে জানা গেছে, মৃদু সংক্রমণ হলেও সেটি মানুষের মস্তিষ্কে গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। এতে মানব মস্তিষ্ক সংকুচিত হতে পারে এবং তার প্রভাবে মানবদেহে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে পারে। কেনো এটি হচ্ছে তা এখনো একটি বিস্ময়। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, মস্তিষ্কের পরিবর্তনের এই বিষয়টি সবার আগে নজরে আছে বৃটিশ গবেষকদের। তারা কোভিড আক্রান্ত হওয়ার আগে ও পরে রোগীদের মস্তিষ্ক পরীক্ষা করে দেখেন। মোট ৭৮৫ জনের উপরে এই গবেষণা চালানো হয়। তাদের বয়স ছিল ৫১ থেকে ৮১ বছর। তাদের মধ্যে ৪০১ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। অর্থাৎ প্রায় সবাইই মৃদু সংক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। গবেষণায় দেখা গেছে আক্রান্ত ব্যাক্তিরা সাড়ে ৪ মাসের মাথায় তাদের মস্তিষ্কের ০.২ শতাংশ থেকে ২ শতাংশ হারিয়েছেন। একইসঙ্গে তাদের গ্রে ম্যাটারও কমে গেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, আক্রান্তদের মনযোগ, চিন্তার ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে ৮ থেকে ১২ শতাংশ। তবে তাদের প্রতিক্রিয়ার সময় এবং অতীত মনে করার ক্ষমতায় তেমন কোনো পরিবর্তন নজরে আসেনি। কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর সাধারণ মানুষের তুলনায় কম মনযোগ এবং মস্তিষ্কের কার্যক্রমে দুর্বলতা লক্ষ্য করা গেছে। গবেষক জ্যাকিস হিউগন বলেন, এখনও এটি স্পষ্ট নয় এই রোগীরা কি আস্তে আস্তে আবারও সেরে উঠবেন কিনা। রিপোর্টে আরও বলা হয়, কোভিডে আক্রান্ত হলে মস্তিষ্কে বেশ কিছু জটিলতা দেখা দেয়। কারণ কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে ওঠে। এতে সাইটোকাইনস নামের প্রোটিনের ঝড় বইয়ে দেয়। এই অবস্থা দীর্ঘ দিন চলতে থাকলে তা মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলতে শুরু করে এবং নানা জটিলতার সৃষ্টি করে। গবেষণায় দেখা গেছে, আক্রান্তদের মনযোগ, চিন্তার ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে ৮ থেকে ১২ শতাংশ। তবে তাদের প্রতিক্রিয়ার সময় এবং অতীত মনে করার ক্ষমতায় তেমন কোনো পরিবর্তন নজরে আসেনি। কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর সাধারণ মানুষের তুলনায় কম মনযোগ এবং মস্তিষ্কের কার্যক্রমে দুর্বলতা লক্ষ্য করা গেছে। ফিনল্যান্ডে হওয়া এক গবেষণায় জানা গেছে, কোভিড আক্রান্ত হলে যেহেতু ফুসফুস দুর্বল হয়ে পড়ে সেহেতু মস্তিষ্ক কম অক্সিজেন পায়। এতেও মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পাশাপাশি কোভিড আক্রান্ত হওয়ার ৬ মাস পর্যন্ত মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি থেকে যায়। অর্থাৎ স্ট্রোক করার ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি থাকে। অনেক বিজ্ঞানী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, কোভিডের সঙ্গে আলঝেইমার্সের সম্পর্ক থাকতে পারে। আবার বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে মস্তিষ্কেও সংক্রমিত হতে পারে কোভিডের ভাইরাস সার্স-কভ-২। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ আগে দেখিয়েছিল কীভাবে এই ভাইরাস দেহের বিভিন্ন অংশে সংক্রমিত হতে পারে। ভ্যাকসিন গ্রহণকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং তুলনামূলক কম শক্তিসম্পন্ন ভ্যারিয়েন্ট বিস্তার পাওয়ায় অনেকেই আর কোভিড নিয়ে উদ্বেগ বোধ করেন না। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখনও এ ধরনের চিন্তা করার সময় আসেনি। কারণ মৃদু সংক্রমণও মস্তিষ্কে বড় ক্ষতি করতে পারে। টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।