পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মস্তিষ্কের এই স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা আমাদের বিবর্তনের অংশ। অধ্যবসায় এবং অভ্যাসের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যোগব্যায়াম এবং মননশীলতার মতো মন-দৈহিক কর্মসূচি মস্তিষ্ককে সুখ অনুভবের ইঙ্গিত দেয়। আমরা কীভাবে আমাদের মনোযোগ ব্যবহার করি তার উপরে আমাদের আবেগ স্থিরতা নির্ভর করে এবং মনোযোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেক মন-দৈহিক প্রশিক্ষণ রয়েছে।
এর একটি হচ্ছে ‘মননশীলতা’ অনুশীলন, এতে শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে মনোযোগ নিবদ্ধ করতে বলা হয়। শুনতে সহজ মনে হলেও কাজটি বেশ কঠিন। কারণ, আমাদের মন দৃঢ়ভাবে এটি প্রতিরোধ করে। সুতরাং, বারবার চেষ্টা করা সত্তে¡ও, একজন ব্যক্তি দেখতে পান যে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তার মনোযোগ ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে এবং মস্তিষ্ক ভবিষ্যত কল্পনার স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালু করছে। আপনি যদি এই সময়কার চিন্তাভাবনাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখেন, তাহলে অতীত এবং ভবিষ্যতের সাথে মস্তিষ্কের স্বয়ংক্রিয় ভাবনার বিচ্ছিন্নতা বুঝতে পারবেন। এবং তার সাথে অর্ধ-সচেতন মনে চলা ভবিষ্যত পরিকল্পনার সম্পর্কও স্পষ্ট হয়ে যায়।
এই অনুশীলনের মাধ্যমে আমরা লক্ষ্য করতে শুরু করব যে, এই ভাবনাগুলো প্রায়শই আশা, তুলনা, আফসোস, পরিবার, বন্ধুবান্ধব, চাকরি এবং অর্থের সাথে সম্পর্কিত। এগুলো হচ্ছে সম্পর্ক, অবস্থান এবং শক্তির আকাঙ্খা যা সমাজবদ্ধ জীবের বেঁচে থাকার মূল চালিকা শক্তি। আমাদের অতীতে অর্জিত জ্ঞানের বিরোধী পটভ‚মিতে এগুলো সৃষ্টি হয়।
আরেকটি উপায় হচ্ছে ধ্যান করা। ক্ষতি, ব্যর্থতা এবং ইচ্ছা পূরণ না হওয়ার সম্ভাবনা থেকে প্রতিদিন আমাদের মনে উদ্বেগ তৈরি হয়। শারীরিকভাবেও এর প্রভাব পড়ে। প্রচলিত ধ্যানপদ্ধতিগুলোর মাধ্যমে এসব থেকে মুক্ত থাকা যায়। প্রতিদিনের কাজের ব্যস্ততায় এই উদ্বেগগুলো প্রায়শই আমাদের নজরে আসে না। কিন্তুএর ফলে অবচেতন মনে ক্রমাগত অস্বস্তি সৃষ্টি হতে থাকে, যার থেকে মুক্ত হতে আমরা হালকা খাবার, বিনোদন, পানীয় কিংবা ড্রাগের মতো আনন্দদায়ক কিছুর সন্ধান করি।
মননশীলতা অনুশীলন আমাদের এই উদ্বেগগুলো সম্পর্কে আরও সচেতন করে তোলে এবং ইন্দ্রিয়গুলোর সাথে মনোযোগের সংযোগ ঘটায়। সুতরাং, যখন আপনি যখন নিজেকে উদ্বেগজনক চিন্তায় ডুবে থাকতে দেখবেন, তখন শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে মনোযোগ স্থাপনের চেষ্টা করুন। শারীরিক উত্তেজনা স্বাভাবিকভাবেই মনোযোগ পরিবর্তনের সাথে কমে যায় এবং শান্তির অনুভ‚তি চলে আসে। শ্বাস-প্রশ্বাস থেকে মনোযোগ সরে গেলেও হতাশ হওয়া কিছু নেই; কেবল খেয়াল রাখবেন মন যখনই উদ্বেগের দিকে চলে যাবে, তখনই শ্বাস-প্রশ্বাসে মনোযোগ ফিরিয়ে আনবেন।
মননশীলতা গড়ে তোলার বেশিরভাগ কৌশলগুলোই বর্তমান মুহুর্তটি পুনরুদ্ধারে অনুরূপ নীতি ব্যবহার করে। যেমন- যোগব্যয়াম এবং তাই চি, চলাচলের প্রবাহের সাথে ইন্দ্রিয়গলোকে নিয়ন্ত্রণ করে। অপরদিকে, বাস্তব থেরাপি, যেমন- স্ব-সহানুভ‚তি, প্রার্থনা এবং প্রকৃতি দর্শনের মতো পদ্ধতিগুলো উদ্বেগপূর্ণ আবদ্ধ চিন্তাধারাকে সরিয়ে আরও ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করে আন্তঃবিশ্বাস অর্জনে সহায়তা করে।
কেবলমাত্র সামান্য একটু অনুশীলনের মাধ্যমে উদ্বেগের মতো এই সার্বজনীন মানসিক প্রবণতা এবং ক্রিয়াকলাপ থেকে বেরিয়ে আসার মতো ক্ষমতা অর্জন সম্ভব। উত্তেজনার কমে যাওয়ার ফলে স্ট্রেস-সম্পর্কিত হরমোনগুলো কম নিঃস্বরিত হয় এবং সেরোটোনিন এবং ডোপামিনের মতো হরমোনগুলো মস্তিষ্কে ভাল-অনুভ‚তির সৃষ্টি করে মনে আনন্দের সৃষ্টি করে। সূত্র : এমআইসি। (সমাপ্ত)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।