নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চোটাঘাত, বিশ্রাম, পারিবারিক প্রয়োজন, সবকিছু মিলিয়ে এমনিতেই সাকিব আল হাসানকে টেস্টে পাওয়া যায় কমই। এবার যোগ হলো কোভিডের ধাক্কা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট থেকে এই অলরাউন্ডার ছিটকে যাওয়ায় হতাশ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। তার আক্ষেপ, সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনের সাকিবকে পায় না দল।
সাকিবকে নিয়ে বিসিবি সভাপতির আফসোস-হতাশা অবশ্য পুরনো। দিন দুয়েক আগেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, তারা নিজেরাও জানেন না সাকিব কোনটা খেলবেন, কোনটা খেলবেন না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই সিরিজে অবশ্য খেলারই কথা ছিল সাকিবের। কিন্তু ছুটি কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার পর মঙ্গলবার কোভিড পরীক্ষায় পজিটিভ হন তিনি।
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার বিতরণীর আয়োজনে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নাজমুল হাসান এবার সাকিবের প্রসঙ্গে দায় দিলেন ভাগ্যকে। তার মতো একজন অলরাউন্ডার না থাকলে একাদশ বাছাইয়ে বরাবরই যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়, তা আবার তুলে ধরলেন বিসিবি সভাপতি, ‘এটা আমাদের কপাল খারাপ। দুর্ভাগ্য। দোয়া করছি সাকিব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাক। কালকে আমার সঙ্গে কথা হয়েছে, বলেছে ও এখন ভালো। এই মুহ‚র্তে ওর কোনো সমস্যা নেই। আমরা কয়েকদিন পর আবার করব (পরীক্ষা), খুব শিগগিরই। আমাদের প্রোটোকল আছে, সে অনুযায়ীই করা হবে। সমস্যাটা হচ্ছে যে, সাকিব না থাকায় আমাদের এখন একজন ব্যাটসম্যান কম নিয়ে খেলতে হবে অথবা একজন বোলার কম নিয়ে। এটা টেস্টের জন্য একটা সমস্যা। কিন্তু এখানে কিছু করার নেই, কিছু বলারও নেই। আমাদের কপাল খারাপ যে ওকে আমরা পাচ্ছি না। যে সময়টায় সবচেয়ে বেশি দরকার হয়, তখনই আমরা ওকে পাই না। এখন একমাত্র আমরা আশা করতে পারি দ্রæত সুস্থ হোক ও দলে যোগ দিক।’
বিসিবি সভাপতির আশা, সাকিবের বদলে সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটার মেলে ধরবেন নিজেকে। সাকিবকে ছাড়াই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের আশা করছেন তিনি দলের অন্যদের অভিজ্ঞতার ভরসায়, ‘ও না থাকাটা তো অবশ্যই দলের জন্য বড় একটা ধাক্কা। এই কারণে যে, শ্রীলঙ্কা অনেক শক্তিশালী দল, এটা তো অস্বীকার করার পথ নেই। টেস্টে আমরা এমনিতেই অনেক দুর্বল। সেজন্য এটা একটা বিরাট সুযোগ ছিল আমাদের এবং এখনও আছে। দেখা যাক, সাকিবের জায়গায় যে আসবে, সে নিজেকে প্রমাণ করতে পারবে, এটাই আমরা আশা করছি। আমাদের এখানে বেশ কিছু অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে, তারা যদি খেলতে পারে, তাহলে আমি মনে করি কোনো দলের সঙ্গেই আমাদের না জেতার কোনো কারণ নেই।’
সাকিব দেশের হয়ে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন গত ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে। এরপর নিউজিল্যান্ড সফরে ব্যক্তিগত কারণে ছুটিতে ছিলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও তার যাওয়ার কথা ছিল না। অনেক নাটকের পর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গেলেও শুধু ওয়ানডে খেলেই তিনি দেশে ফিরেছেন পারিবারিক কারণে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন হওয়ার কথা ছিল সাকিবের। কিন্তু এবার এল করোনার বাধা। করোনানীতি অনুযায়ী সাকিবকে পাঁচ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে। যে কারণে ১৫ মে থেকে শুরু হওয়া চট্টগ্রাম টেস্ট আর খেলা হচ্ছে না তার। এরপর ২৩ মের মিরপুর টেস্টে সাকিব খেলবেন কি না, সেটি নির্ভর করবে করোনা পরীক্ষার ওপর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।