মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বৈষম্যের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায় স্থানীয় আদালতে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন গুজরাটের ৬০০ মুসলিম জেলে। আজ সোমবার ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পোরবন্দর মোহন দাস করম চাদ গান্ধীর জন্মভূমি গুজরাটের পোরবন্দরে। হাজার বছর ধরে এই অঞ্চলে মুসলিম মৎস্যজীবীরা বসবাস করে আসছেন। খবর সিয়াসতডটকম, মুসলিমমিরর।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পোরবন্দরের গোসাবারা জলাভূমির মৎস্যজীবীদের নেতা আল্লারাখা ইসমাইল ভাই থিম্মার হাইকোর্টে গত বৃহস্পতিবার এই আবেদন করেছেন। স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করা ৬০০ মুসলিম মৎস্যজীবী বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বৈষম্যের অভিযোগ করেছেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা দিনে দিনে চরম খারাপ হয়েছে। তার কারণ নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহর দলের পরিচালিত রাজ্য সরকারের বৈষম্য। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে জীবনধারণ করাটাই দুর্বিষহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই তিনি এবং তার সঙ্গে ৬০০ জনকে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিক আদালত।
গোসাবারা মুসলিম ফিশারমেনস সোসাইটির অভিযোগ, একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মৎস্যজীবীরা সরকারের বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। ওই সম্প্রদায়ের মৎস্যজীবীদের কোনো রকম সরকারি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে না। নানাভাবে তাদের হেনস্তা করা হচ্ছে।
আবেদনে জানানো হয়, এলাকার ১০০ পরিবারের প্রায় ৬০০ লোক মাছ ধরার ব্যবসার সাথে জড়িত। মৎস্য বিভাগ তাদের মাছ ধরার লাইসেন্স দিয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের গোসাবার বা নাভি বন্দরে নৌকা নোঙর করতে দেয় না। ২০১৬ সাল থেকে কর্তৃপক্ষ তাদেরকে এ ধরনের হয়রানি করে আসছে। এর ফলে তারা মানবেতর জীবন যাপনে বাধ্য হচ্ছে।
আবেদনকারীর আইনজীবী ধর্মেশ গুর্জার বলেছেন, ২০১৬ সাল থেকে গোসাবারা বন্দরে নৌকা চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। লাইসেন্স থাকা সত্ত্বেও থিম্মার এবং তার সম্প্রদায় তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
থিম্মার অভিযোগ করেছেন, কর্তৃপক্ষ ধর্মের ভিত্তিতে তাদেরকে হয়রানি করছে। অথচ হিন্দু জেলেদের নিয়মিত সমস্ত সুবিধা দেওয়া হয়।
মুসলিমরা জেলেরা জানান, এ সমস্যা সমাধানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার আবেদন করা সত্ত্বেও কোনো সমাধান হয়নি। অথচ তারা কোনো বেআইনি কার্যকলাপের সাথে জড়িত নয় এবং সময়ে সময়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে নিরাপত্তা বিষয়ক তথ্যও প্রদান করেছেন।
হাইকোর্টে দায়ের করা পিটিশনে জেলেরা আরো অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকারই মূলত হিন্দু ও মুসলিম জেলেদের মধ্যে বৈষম্য করছে এবং তাদের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে না। সূত্র : আনন্দবাজার
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।