মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এপ্রিলের শেষ দিনগুলোয় ভারত ও পাকিস্তানে আরো অসহনীয় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত ৩০ এপ্রিল পাকিস্তানের জ্যাকোবাবাদে তাপমাত্রা ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল। এদিকে ভারতের বান্দায় তাপমাত্রা ৪৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের রেকর্ড স্পর্শ করেছে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ নিশ্চিত করেছে, গত মাসে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের গড় তাপমাত্রা ১০০ বছরেরও বেশি সময় আগে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর সর্বোচ্চ ছিল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, শুধু তাপপ্রবাহ কিংবা তীব্র শীত নয়, এশিয়ায় বন্যা, লবণাক্ততা, নদীভাঙন, ঘূর্ণিঝড় ও তুষারপাতের মতো দুর্যোগ ব্যাপক আকার ধারণ করছে। সব মিলিয়ে চরমভাবাপন্ন হয়ে উঠছে এ অঞ্চলের আবহাওয়া। বছরের এ সময়ে ভারত ও পাকিস্তানে তাপপ্রবাহ সাধারণ হয়ে উঠেছে। তবে বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত প্রত্যক্ষ করা পরিস্থিতির তীব্রতা, সময় ও আগমনের বিষয়টি বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা বাড়ার কারণে ঘটেছে। কয়েক দিন ধরে তাপপ্রবাহ সামান্য শিথিলের পর নতুন শুরু হওয়া সপ্তাহে তাপমাত্রা আরো তীব্র হতে চলেছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, উত্তর-পশ্চিম ভারত ও পাকিস্তানের কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রার পারদ ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি চলে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উত্তর ভারত ও পাকিস্তানজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহের বিপরীতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলগুলো বছরের এ সময়ে অস্বাভাবিক কম তাপমাত্রার সাক্ষী হচ্ছে। ২ মে হংকংয়ের তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছিল। মে মাসের এ তাপমাত্রা ১৯১৭ সালের পর সর্বনিম্ন। এটি ২০১৩ সালে সৃষ্ট আগের রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে। একই দিন চীনের শহর গুয়াংঝুতে ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। এটি শহরটির ইতিহাসে এখন পর্যন্ত মে মাসে রেকর্ড করা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ৪ মে থাইল্যান্ডের উমফাং জেলায়ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছিল। এটি দেশটির ইতিহাসে মে মাসে রেকর্ড করা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ ধরনের শীতল আবহাওয়া উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মৌসুমি বায়ু ও পরিবর্তনশীল অবস্থার ফলস্বরূপ। যদিও এ নিম্নতাপমাত্রা উত্তর ভারত ও পাকিস্তানের জন্য কোনো ইতিবাচক বার্তা নিয়ে আসবে না। পরিবর্তে দেশ দুটিতে আগামী দিনে তাপমাত্রা বিপজ্জনক পর্যায়ে উন্নীত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে রেকর্ড সপ্তম উষ্ণতম এপ্রিলের পর বছরের প্রথম ঠাণ্ডার প্রকোপের মুখোমুখি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ৪ মে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া, ভিক্টোরিয়া, নিউ সাউথ ওয়েলস ও তাসমানিয়ার কিছু অংশের গড় তাপমাত্রা ৪-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছিল। পাশাপাশি দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব অংশে তাপমাত্রা দ্রুত কমে যাচ্ছে। তবে বৃহস্পতি ও শুক্রবার নিম্নচাপ তাসমানিয়ার ভারি বৃষ্টিপাত ও শক্তিশালী ঝড়ো হওয়াকে দুর্বল করে দিয়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এমন চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া বছরে বেশ কয়েকবার ঘটতে দেখা যাচ্ছে। এশিয়ায় ভারি বৃষ্টি, প্রবল বাতাস ও আকস্মিক বন্যাসহ বিরূপ আবহাওয়া সাধারণ হয়ে উঠছে। গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।