পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের দল। আমরা সবসময় ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছি। কখনো পেছনের দরজা দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসেনি। কোনো মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেটের সংগঠন আওয়ামী লীগ নয়। আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের সংগঠন। নির্বাচনে প্রহসন ও ভোট কারচুপির সংস্কৃতি শুরু করেছে জিয়াউর রহমান। মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে।
গতকাল গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভার শুরুতে সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টায় দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা শুরু হয়। করোনা টেস্টে নেগেটিভ রিপোর্ট আসা দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা এতে অংশ নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোটের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ কখনো পিছিয়ে ছিল না। সবসময় আওয়ামী লীগের ভোটের পারসেন্টেজ বেশি ছিল। ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগকে পিছিয়ে রাখা হয়েছে। সব ষড়যন্ত্রকে পেছনে ফেলে আমরা এগিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, একটি গোষ্ঠী আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করতে চায়। আমাদের অপরাধটা কী? আমরা কোথায় ব্যর্থ হয়েছি? জিয়া, এরশাদ, খালেদা, তারেক সবাই মানুষ হত্যা করেছেন। মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছেন। তিনি বলেন, অনেকে অতিজ্ঞানী হলেও তারা কম বোঝে, তাকিয়ে থাকে কখন তারা ক্ষমতায় যেতে পারবে। তারা বসে থাকে, কখন সিগন্যাল আসবে। বিদেশে দেশের বিরুদ্ধে বদনাম করে, বিদেশ থেকে যেন তাদের ক্ষমতায় বসাবে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে, পচাঁত্তরের পর থেকে শত্রুরা কখনো ক্ষতি করতে পারে না, যদি না ঘরের শত্রু বিভীষণ হয়। এটা আওয়ামী লীগে বেশি দেখা গেছে। এজন্য দরকার সংগঠনকে বেশি শক্তিশালী করা এবং ক্ষমতায় গিয়ে দেশের জন্য কাজ করা।
আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রসঙ্গে দলের সভাপতি বলেন, আমরা নিয়মিত সম্মেলন করি। সময় এগিয়ে এসেছে। এর আগে আমরা কিছু কাজ করে থাকি। আগের ঘোষণাপত্রের অনেক কিছু বাস্তবায়ন করেছি। এমডিজি, এসডিজি বাস্তবায়ন করেছি।
এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হওয়ায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ এবার ঈদে নির্বিঘ্নে বাড়ি গেছে এবং ফিরছে। মানুষ গ্রামের বাড়ে গিয়ে ঈদ করেছে, উৎসব করেছে। তিনি আরো বলেন, এটা ভাল দিক যে ঈদে আমাদের দেশের মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে যায়। বিশ্বে অনেক দেশে এমন রীতি কমে গেছে। তবে শহরের মানুষ গ্রামে গেলে গ্রামেও অর্থ সরবরাহ বাড়ে। গ্রামের যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো হচ্ছে। আমরা তৃণমূল থেকে উন্নয়ন করছি। গ্রামীণ অর্থনীতিও শক্তিশালী করছি। সরকারপ্রধান বলেন, আমরা পরাধীনদের অনুসরণ করবো না। নিজস্বভাবে দেশের উন্নয়ন করবো। মাথা উঁচু করে চলবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুজিব বর্ষের অনেক কর্মসূচী ছিল। সবচেয়ে বড় কর্মসূচী হল ভূমিহীনদের ঘর প্রদান করা। প্রধানমন্ত্রীর ফান্ডে অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি, ব্যবসায়ীরা অর্থ দিচ্ছেন। সেই টাকা দিয়ে জমি কিনে ভূমিহীনদের বাড়ি করে দেয়া হচ্ছে। আমরা চাই বাংলাদেশে একটা মানুষও ভূমিহীন থাকবে না। ঈদের আগে ৩৩ হাজার ঘর দিয়েছি, জুলাই মাসে আরও ৩৪ হাজার দেব। বাকি থাকবে ৪৫ হাজার। তাও দিয়ে দিলে দেশে ভূমিহীন কেউ থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী যে মন্দা দেখা দিয়েছে তা আরো বাড়তে পারে। তাই এখন থেকে সতর্ক হতে হবে, প্রস্তুতি নিতে হবে। আমেরিকা, লন্ডনেও খাবারের দাম বেড়েছে। লন্ডনে রেশনিং করে সয়াবিন দেয়া হচ্ছে, এক লিটারের বেশি তেল কেউ নিতে পারে না। রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে শিপিংএ পণ্য পরিবহনের খরচ অনেক বেড়েছে।
করোনার ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যে করোনা ভ্যাকসিনের কোন দাম নেয়নি। এখানে শুধু ভ্যাকসিনের দাম দেখলে হবে না। ভ্যাকসিন এনে যে ফ্রিজে রাখতে হয়েছে তার খরচ, সিরিঞ্জ , স্বেচ্ছাসেবক, ডাক্তার, নার্স, পিপিই, স্থানের খরচসহ খুটিনাটি সব কিছু ধরলে একটা ভ্যাকসিনের পিছনে অনেক টাকা খরচ হয়। আমরা করছি সব মানুষের জন্য করছি।
টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়। উন্নয়নের ধারা আরও অব্যাহত রাখতে হবে। জনগণকে ধন্যবাদ তারা বারবার ভোট দিয়েছে, টানা ৩ বার ক্ষমতায় রেখেছে। অনেক উন্নয়ন হয়েছে, জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। আমরা চাই গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকুক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।