মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কোভিড-১৯ নিয়ে আরো বড় আশঙ্কার কথা শোনালেন মাইক্রোসফট কোম্পানির সিইও, বিলিওনিয়ার বিল গেটস। ২০১৫ সালে গেটস ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, পৃথিবীতে শিগগিরই ঘনিয়ে আসতে চলেছে আরো এক মহামারিী এবং তার জন্য প্রস্তুত নয় দুনিয়া।
নতুন করে বিভিন্ন দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ভারত, ব্রিটেনসহ একাধিক দেশে করোনার বাড়বাড়ন্ত। ওমিক্রনের পর মিউন্ট্যান্ট সাব ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতির খোঁজ মেলায় আরো বাড়ছে আতঙ্ক। কোভিডের চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কায় কাঁপতে থাকা দুনিয়ার জন্য আরো আশঙ্কার বাণী শোনালেন মাইক্রোসফট কোম্পানির সিইও এবং বিলিওনিয়ার বিল গেটস। তিনি বলেন, ‘করোনা এখনও পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়নি। করোনাভাইরাসের সবথেকে ভয়ঙ্কর রূপ এখনও দেখেনি পৃথিবী। যত দিন যাচ্ছে তত শক্তিশালী হচ্ছে কোভিডের মিউন্ট্যান্ট। বির্বতিত হয়ে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন সাবভ্যারিয়েন্ট’।
বিল গেটসের মতে, মহামারির সবথেকে ভয়াবহ সময় এখনও আসেনি। সামান্য অসচেতনতা ও অবহেলায় ফের আরও ভয়ঙ্কর রূপে ফিরতে পারে কোভিডের মহামারি। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে মাইক্রোসফট সিইও সাবধান করেছিলেন কোভিডের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে। তারপরই ২০২২ সালের জানুয়ারিতে দেশে ঘটে প্রায় কোভিড বিস্ফোরণ। আক্রান্তের সংখ্যা দৈনিক ছাড়িয়ে যায় লাখের কোটা। সেই ভয়াবহ পরিস্থিতি স্বাভাবিকে পৌঁছতে সময় লাগে বেশ কয়েক মাস। ভাইরাসের সংক্রমণে প্রাণ হারায় বহু মানুষ। ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ৬২ লাখ লোক মারা গিয়েছেন।
স¤প্রতি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় করোনা প্রসঙ্গে ধনকুবের গেটস বলেন, কোভিড মহামারির সঙ্কট এখনও কাটেনি। ভাইরাসের এক প্রকৃতিকে পুরোপুরি বুঝে ওঠার আগেই হাজির হচ্ছে আরেক সাব ভ্যারিয়েন্ট। প্রতিটি ভ্যারিয়েন্ট আগের থেকে আরো প্রাণঘাতী। এ প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দেওয়া ভালো ২০১৫ সালেই বিল গেটস সাবধান করেছিলেন, পৃথিবীতে ঘনিয়ে আসতে চলেছে আরো এক মহামারি এবং তার জন্য প্রস্তুত নয় দুনিয়া।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে করোনার একাধিক নতুন ভ্যারিয়েন্ট। নয়া ভ্যারিয়েন্ট এক্সই এবং এক্সডি, বাড়াচ্ছে চিন্তা। জিনোম সিকোয়েন্সিং অ্যানালিসিস-এর ওপর ভিত্তি করে আইএনএসএসিওজি জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনার মিউট্যান্ট প্রজাতি কমই পাওয়া গিয়েছে। তবে বর্তমানে নয়া ভ্যারিয়েন্ট এক্সই এবং এক্সডি ওপর নজর রয়েছে বিশেষজ্ঞদের। একইসঙ্গে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ওমিক্রন-এর নিউ ভ্যারিয়েন্ট বিএ.১২। ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউ হয়েছিল এই ওমিক্রন বিএ-২-এর কারণেই। বিএ-১২ ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন বিএ.২-এর থেকে ১০ গুণ বেশি সংক্রামক এবং ভয়ঙ্কর। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।