মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের উন্নাওয়ে চাকরিতে যোগ দেওয়ার প্রথম দিনই হাসপাতাল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে এক নার্সের লাশ। পড়াশোনা শেষ করে তিনি সদ্য পা রেখেছিলেন কর্মজীবনে। মৃত ওই নার্সের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ধর্ষণ করে তাদের মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটে। রোববার (১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যম বলছে, পড়াশোনা শেষ করে ওই নার্স সদ্যই পা রেখেছিলেন কর্মজীবনে। শুক্রবার ছিল কাজের প্রথম দিন। কিন্তু বাড়ি ফেরার নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে রাত হয়ে গেলেও মেয়ের দেখা নেই। পরে শনিবার সকালে মেয়ের খোঁজে নার্সিং হোমে যেতেই আঁতকে ওঠেন মা-বাবা। দূর থেকেই দেখতে পান নার্সিং হোমের ছাদ থেকে ঝুলছে মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ।
পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যা বলে মনে করা হলেও যুবতীর পরিবারের অভিযোগ, তাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে গত শুক্রবারই নার্স হিসেবে ওই নার্সিংহোমে কাজে যোগ দিয়েছিলেন মৃত ওই যুবতী। পরদিন সকালে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার সকালে উন্নাওয়ের নিউ জীবন নামক একটি নার্সিং হোমের ছাদ থেকে এক যুবতীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ইতোমধ্যেই পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
এফআইআরে তিন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেছেন ওই নার্সের মা-বাবা। তাদের মধ্যে নার্সিং হোমের প্রশাসকও রয়েছেন। পুলিশ বলছে, মৃত ওই নার্সের পরিবারের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপরাধ প্রমাণ হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উন্নাওয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শশী শেখর সিং বলেছেন, ‘নিউ জীবন হাসপাতাল থেকে এক যুবতীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, ওই যুবতীকে প্রথমে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং পরে হত্যা করে মৃতদেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
পরিবারের দাবি, শুক্রবার কাজের প্রথম দিন হওয়ায় হাসি-খুশি অবস্থাতেই বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন তাদের মেয়ে। কাজ শেষে বিকেল বা রাতের মধ্যে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার দীর্ঘক্ষণ কেটে যাওয়ার পরও মেয়ে বাড়ি না ফেরায় তারা আশপাশে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেন।
পরে শনিবার ভোরে স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথম মৃতদেহটি ছাদ থেকে ঝুলতে দেখেন। পরে ঘটনাস্থালে পৌঁছায় মৃত নার্সের পরিবারের সদস্যরাও।
এদিকে এনডিটিভি জানিয়েছে, নার্সিং হোমের ছাদে মৃত ওই নার্সের ঝুলন্ত মরদেহের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, স্থানীয়রা ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা ওই মরদেহের ছবি তুলছে এবং এটি কিভাবে নামিয়ে আনা যায় তা নিয়ে কথা বলছেন পুলিশ সদস্যরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।