পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমতের ভিত্তিতেই সরকার হটানোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু এই সরকারের অধীনে নির্বাচন না। এর সাথে আমরাও একমত প্রকাশ করছি। এই কথার সাথে আরো যুক্ত করতে চাই আর এই সরকার না। বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন তো না-ই। দেশের যে পরিস্থিতি যে অবস্থা তাতে এখন সময় এসেছে সরকারকে না বলা।
গতকাল বুধবার রাজারবাগের হোয়াইট হাউজ রেষ্টুরেন্টে নাগরিক ঐক্যের এক ইফতারপূর্ব আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য একথা জানান।
ড. মোশাররফ বলেন, এই সরকারকে বিদায় দেবার জন্য আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। দেশের মানুষের যে ঐক্যবদ্ধ আকাক্সক্ষা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা, দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা এবং এদেশের মানুষের মালিকানা তাদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া। এর জন্য সকল গণতান্ত্রিক জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমিক শক্তি, রাজনৈতিক শক্তি, দল ও ব্যক্তিকে আমরা আহবান জানাব এই স্বৈরাচারি ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে এদেশের জনগণকে মুক্ত করি। সেজন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য যে কর্মসূচি প্রয়োজন হবে তা আলোচনার মাধ্যমে আমরা সিদ্ধান্ত নেই।
নাগরিক ঐক্যের আয়োজনে ‘এই সরকারের অধিনে নির্বাচনকে না বলুন’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়। এতে বিএনপি, গণফোরাম, জেএসডি, গণসংহতি আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।
জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব বলেন, একটা কথা পরিস্কার আমরা এখানে যারা উপস্থিত আছি কেউ এই সরকারের অধিনে নির্বাচন করবো না-এই প্রশ্নে কোনো দ্বিমত নেই। আমাদের কথা স্পষ্ট এই সরকারের অধিনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। সেজন্য এদেরকে হটাতে আন্দোলনের কোনো বিকল্প পথ নইে। তবে এই সরকারকে বিদায়ের পর কোন সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে সেটা আমাদের আগেই ঠিক করতে হবে। সেই সরকারটি অবশ্যই এমন সরকার হতে হবে যারা নিরপেক্ষ ও অবাধ একটি নির্বাচন করতে পারবে। সেজন্যই জেএসডি মনে করে একটি জাতীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কারণ বর্তমান সরকার যেভাবে প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে তাতে এটা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সেজন্য একটা জাতীয় সরকার দরকার হবে।
নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, যারা যারা কথা বলেছেন সবার কথার মধ্যে এই প্রত্যয় ব্যক্ত হয়েছে যে, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না। আমরা যাবো না। এই সরকার চলে যাওয়ার পরে যে সরকার হবে সেটা তো নির্বাচিত সরকার নয়। এই সরকার কেমন হবে। কেউ জাতীয় সরকার বলছেন, কেউ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলছেন, কেউ বলছেন, তদারকির সরকার। এ থেকে সরকার পক্ষে মিডিয়াগুলো মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াবার চেষ্টা করছে- ওরা পরের সরকারের ব্যাপারে একমত নয়, মতপার্থক্য আছে, ওদের ঐক্য হবে না। তাদের জন্য আমরা একটা ম্যাসেজ দিতে চাই- আমরা যে নামেই ডাকি না কেনো আমরা একটা অন্তবর্তীকালীন সরকার চাই সেই সরকার পরবর্তি নির্বাচনকে সুগম, স্বচ্ছ, গ্রহনযোগ্য করে তুলতে পারে।
নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, গণফোরামের মোস্তফা মোহসিন মন্টু, গণঅধিকার পরিষদের ড. রেজা কিবরিয়া, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণ সংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, শাহাদাত হোসেন সেলিম, জেএসডির শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার খন্দকার লুতফুর রহমান, বিকল্পধারার নুরুল আমিন ব্যাপারী প্র্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
ইফতারে বিএনপির আমীর খসুর মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, শ্যামা ওবায়েদ, জহির উদ্দিন স্বপনসহ ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।