পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার ঃ আগামী ১৩ নভেম্বরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঘোষিত সমাবেশ নিয়ে আবারো টালবাহানা করা হলে তা গণতন্ত্রের জন্য শুভ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। গতকাল বুধবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আমাদের মহাসচিব ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামী ১৩ নভেম্বর সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছেন। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আবার যদি তারা (সরকার) টালবাহানা করে আমাদেরকে সমাবেশ করতে না দেয়া হয়, ধরে নিতে হবে এই সরকার সম্পূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক চরিত্র হারিয়ে ফেলছে। এবার এটা হলে আমরা আর এই সরকারের কাছ থেকে গণতন্ত্র আশা করি না, এই সরকারের কাছে জনগণের ভোটাধিকার আশা করি না, এই সরকারের কাছে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আশা করি না। জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা হয়। গত ২৭ অক্টোবর সংগঠনটির নতুন আংশিক কমিটি গঠনের পর এটিই তাদের প্রথম আলোচনা সভা।
সভা শুরু হওয়ার পর সোয়া ১১টায় শাহবাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীদের হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়িতে বেল্লালসহ ৪ জন আহত হয়। এতে মিলনায়তনের গেইটের গ্লাস ভেঙে যায়। পরে অবশ্য নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই সরকার ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণতন্ত্র প্রবর্তনের টানিং পয়েন্ট। সেজন্য আওয়ামী লীগ এদিনটিকে ভয় পায়, শহীদ জিয়াউর রহমানকে ভয় পায়।
৭ নভেম্বরের চেতনা এই দেশ থেকে স্বৈরতন্ত্র, ফ্যাসিবাদকে সরিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। নতুন প্রজন্মকে ৭ নভেম্বর সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে ইতিহাস বিকৃত করছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা। দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান ড. খন্দকার মোশাররফ।
এদেশে মানুষের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে আমাদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে। সেই দিনের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করতে সকলকে এখন এক হতে হবে।
সংগঠনের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, যুব দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যালবার্ট পি কস্টা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুুল কাদের ভুঁইয়া, মোস্তাফিজুর রহমান, গোলাম সারোয়ার, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সাদরাজ্জামান, ইয়াসীন আলী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।