পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সরকার বাঘের ওপর সোয়ার হয়ে বসে আছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে তারা আদালতে সাজাপ্রাপ্ত দুই মন্ত্রীকেও অপসারণ করতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, সরকারের পাপের বোঝা এত বেশি হয়ে গেছে যে, এর ভার তারা বহন করতে পারছে না। তাদের অবস্থা নড়বড়ে। সর্বোচ্চ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত দুই মন্ত্রীকেও তারা সরাতে পারছে না। তাদের সরিয়ে দিলে কী প্রতিক্রিয়া হয়, এই দুর্বলতায় তারা এখন ভয়ে আছে। আমি বলব, এখন শুধু দরকার একটু ধাক্কা। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের এই ধাক্কা দিতে হবে। এজন্য সকলকে আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৯ম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
সরকারের দমন-পীড়নের সমালোচনা করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সারাদেশটাকে সরকার বৃহৎ কারাগারে পরিণত করেছে। মিথ্যা মামলায় হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে আটকিয়ে রাখা হয়েছে। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ নেতৃবৃন্দকে সাজা দেয়ার পাঁয়তারা করছে তারা (সরকার)। উদ্দেশ্য একটাইÑবিএনপিকে নির্মূল করা।
তিনি বলেন, গুম, খুন, অত্যাচার, নির্যাতন ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকার এত বেশি পাপ করেছে যে সেই পাপের বোঝা তারা বহন করতে পারছে না। তারা (সরকার) বাঘের ওপর সোয়ার হয়ে বসে আছে। বাঘ একটু নাড়াচড়া দিলেই এই সরকারও পড়ে যাবে। বাঘের সামনে পড়বে আওয়ামী লীগের লোকেরা, তারা কেউ রক্ষা পাবে না। জনরোষ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এই সরকার আজ জনগণের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। একদিন এমন সময় আসবে, তখন তারা আর পালাবার পথ পাবে না।
দেশে অলিখিত বাকশাল শাসন চলছে বলে অভিযোগ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ১/১১ সেনা সমর্থিত সরকারের মতো আওয়ামী লীগ সরকারও বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। তারা তারেক রহমানকে টার্গেট করেছে, তারা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও জিয়া পরিবারকে টার্গেট করেছে। এ থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি মুনির হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম পটু, কেন্দ্রীয় নেতা আমিনুল ইসলাম, নেছার উদ্দিন, সারোয়ার হোসেন, আনু মো. শামীম, ইয়াসীন আলী, লিটন মাহমুদ, সাহাবুদ্দিন মুন্না, রফিক হাওলাদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।