পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : মরহুম আ স ম হান্নান শাহের স্মরণে দোয়া মাহফিল করেছে বিএনপি। গতকাল শনিবার বাদ আসর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হয়।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আ স ম হান্নান শাহ বিএনপির একটা স্তম্ভ ছিল, জাতীয়তাবাদী শক্তির একটি প্রতীক ছিল। তিনি দুর্দিনের একজন কা-ারী ছিলেন। সকলের মনে আছে, ১/১১-এর পরে যখন আমাদের দল নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছিল সংস্কারপন্থি নামে দলকে বিভক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিল, তখন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল হান্নান শাহর ভূমিকা কেউ ভুলতে পারবে না। আজকে আমরা তাকে আমাদের দলের দুর্দিনের কা-ারী হিসেবে আখ্যায়িত করতে চাই।
হান্নান শাহের ইন্তেকালে দলের ‘অপূরণীয় ক্ষতি’ হয়েছে তা পূরণ করা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পরে আসম হান্নান শাহের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
গত মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের র্যাফেলস হার্ট সেন্টারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আসম হান্নান শাহ ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। বিএনপি এই নেতার ইন্তেকালে গত মঙ্গলবার থেকে চারদিনে শোক পালন করে। ওই চারদিন সারাদেশে কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।
শুক্রবার হান্নান শাহকে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ঘাগটিয়ায় গ্রামের বাড়িতে মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়।
মরহুম নেতার কুলখানি
গতকাল বাদ মাগরিব মহাখালী ডিওএইচএসএর জামে মসজিদে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপির নজরুল ইসলাম খান, ড. আব্দুুল মঈন খান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ড. ওসমান ফারুক, আহমেদ আজম খান, আমীনুল হক, শামীমুর রহমান শামীম, সায়েদুল আলম বাবুল, মরহুম নেতা হান্নান শাহের বড় ভাই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শাহ আবু নঈম মোমিনুর রহমান, ২০ দলীয় জোটের এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমানসহ বিএনপির নেতা-কর্মী, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তারা অংশ নেন।
বিএনপির শোক সভা
আ স ম হান্নান শাহ’র স্মরণে বিএনপি আগামী ৪ অক্টোবর বিকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে শোকসভা করবে। এতে দলের স্থায়ী কমিটিসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।