পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বর্তমান সরকারকে জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সরকারকে বিদায় করতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনকে দায়িত্ব নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সরকার হটানোর আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নেই। এই সরকারের কাছে দাবি করে কোনো লাভ নেই। জনগণ এই সরকারকে আর দেখতে চায় না। এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনগুলো আজকে এজন্য দায়িত্ব নিতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতকরণ ও সার, বীজ, কীটনাশক, ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
দ্রব্যমূলের উধর্বগতির পেছনে সরকারের মধ্যস্বত্ত¡ভোগীরাই দায়ী অভিযোগ করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দ্রব্যমূল্যের উধ্বগতির বাজারে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। এই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না। কারণ একটাই তাদের মধ্যস্বত্তাবভোগীরা। এরা (মধ্যস্বত্ত¡ভোগী) সকলেই আওয়ামী লীগ করে অথবা তারা আওয়ামী লীগের সমর্থক।
তিনি বলেন, আজকে প্রশাসনকে দলীয়করণে করার ফলে তাদের কাছ থেকে জনগন কোনো সুবিধা পাচ্ছে না। শুধু তাই নয় এই প্রশাসনও আওয়ামী লীগের সাথে সহযোগিতা করে আমাদের কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের দাম দিচ্ছে না। এই অবস্থায় আমরা কার কাছে দাবি করবো? এই সরকার নিজেরা ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের এবং তাদের দোশরদের লাভবান করার জন্য এই ঘটনা করছে, দ্রব্যমূল্যের বাড়ছে ও কৃষকরা তাদের পণ্যের দাম পাচ্ছে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, আমরা আশাবাদী এদেশের জনগণকে সংগঠিত করে বিএনপির নেতৃত্বে গণ আন্দোলন সৃষ্টি হবে। এই গণআন্দোলনের মুখে এই গায়ের জোরের সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হবে। বিএনপির নেতৃত্বে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামী দিনে সেই কাক্সিক্ষত আন্দোলনে আপনাদের সকলকে অংশগ্রহনের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য আমি আহবান জানাচ্ছি।
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অনতিবলম্বে তাদের পদত্যাগ করতে হবে। সারাদেশের মানুষ দাবি জানাচ্ছে- একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে যত দ্রæত ক্ষমতা থেকে সরানো যাবে ততই দেশের জন্য মঙ্গল।
কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, এসএম জাহাঙ্গীর, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া, কৃষক দলের গৌতম চক্রবর্তী, টিএস আইয়ুব, মোশাররফ হোসেন ও শফিকুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।