পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঈদযাত্রায় প্রথম দিনেই ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এতে বাড়ি ফেরার জন্য যারা অগ্রিম টিকিট কেটেছিলেন তারা শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গতকাল বুধবার ট্রেনে প্রথম দিনেই বিলম্বিত হয়েছে ট্রেনের শিডিউল। শুরুতেই তিনটি ট্রেন বিলম্বে কমলাপুর স্টেশন ছেড়েছে। এসব ট্রেনের মধ্য সবচেয়ে বেশি দেরিতে ছাড়ে রংপুর এক্সপ্রেস ও ধূমকেতু এক্সপ্রেস। বিলম্বে ট্রেন ছাড়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে যাত্রীদের মাঝে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করা যাত্রীরা। এবারের ঈদ যাত্রায় প্রতিদিন ৫৩ হাজার যাত্রী ট্রেনে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রা করবেন। এর মধ্যে শুধুমাত্র আন্তঃনগর ট্রেনে আসন থাকবে ২৭ হাজারের বেশি।
ইতোমধ্যে গত কয়েকদিন ধরে ট্রেনের টিকিটপ্রত্যাশীরা রাত-দিন অপেক্ষা করেও টিকিট পাননি অনেক যাত্রী। অনলাইনে কেনার সুযোগ থাকলেও অনেকের অভিযোগ, কয়েক মিনিটে লগইন করেও টিকিট কাটতে পারেননি তারা। এছাড়া, টানা তিনদিন লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও কাঙ্খিত টিকিট পায়নি অনেকে। এমন অভিযোগও করেছেন অনেকে। এ যেন ডিজিটাল প্রতারণার সামিল বলে অভিযোগ করেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে গত কয়েকদিন ধরে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। কোন ধরণের শৃঙ্খলা ছিলো না। তার উপর বিদ্যুৎ বিভ্রাটে টিকিট বিক্রিতে ধীরগতি দেখা দেয়। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন রাত থেকে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষায় থাকা ব্যক্তিরা। কেননা সর্বমোট টিকিটের সংখ্যার বিপরীতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন প্রায় ১০ গুণ বেশি মানুষ। অনলাইন বিপর্যয়ে নাজেহাল টিকিটপ্রত্যাশীরা। সার্ভার জটিলতায় বিপর্যস্ত হাজার হাজার মানুষ ঢাকার যানজট পেরিয়ে ছুটে আসলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
যাত্রীরা জানিয়েছেন, সড়কের ভোগান্তি এড়াতে আমরা ট্রেনের ওপর ভরসা করি। রাত-দিন অপেক্ষা করে টিকিট সংগ্রহ করেছি অথচ এখনো ট্রেন ছাড়ছে দেরিতে। একবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ঈদের টিকিট কাটবো, আবার যাত্রার দিন শিডিউল বিপর্যয় হয়ে ট্রেন বিলম্বিত হবে এটা মেনে নেয়া যায় নাতবে দিনের অন্যান্য ট্রেন চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম অভিমুখী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জগামী এগার সিন্ধুর প্রভাতি, দেওয়ানগঞ্জ অভিমুখী তিস্তা এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম অভিমুখী মহানগর প্রভাতি যথাসময়ে কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে গেছে।
গতকাল বুধবার কমলাপুর স্টেশন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভোর ৬টায় রাজশাহীগামী আন্তঃনগর ধূমকেতু এক্সপ্রেসের মাধ্যমে ঈদ যাত্রা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে ধূমকেতুর বিলম্ব হওয়ায় ৬টা ২০ মিনিটে সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেসের মাধ্যমে ঈদ যাত্রা শুরু হয়। ঈদ যাত্রার প্রথম দিনের শুরুর ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেস ৫৫ মিনিট বিলম্বে স্টেশন ছাড়ে। অর্থাৎ ভোর ৬টায় ছাড়ার কথা থাকলেও তা কমলাপুর ছেড়ে যায় ৬টা ৫৫ মিনিটে। অপর ট্রেন খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে কমলাপুর ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি ছেড়ে যায় ৮টা ৪৭ মিনিটে। রংপুর অভিমুখী রংপুর এক্সপ্রেস সকাল ৯টা ১০ মিনিটে কমলাপুর স্টেশন ছাড়ার কথা ছিল। তবে রংপুর এক্সপ্রেস ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট বিলম্ব করে কমলাপুর স্টেশন ছাড়ে সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে।
রাজশাহীগামী ধূমকেতু ট্রেনের এক যাত্রী বলেন, অগ্রিম টিকিটের জন্য মধ্যরাতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলাম। পরে সকালে টিকিট পেলাম, যখন কাঙ্খিত দিন এল তখন যাত্রায়ও বিলম্ব। একবার টিকিট কাটার সময় বিড়ম্বনা, আবার যাত্রার দিনের শিডিউল বিপর্যয়ের বিড়ম্বনা। সব ভোগান্তি শুধু সাধারণ যাত্রীদের।
আরেক যাত্রী বলেন, রমজান মাসে রোজা রেখে স্ত্রী-সন্তানসহ বলতে গেলে দৌড়ে স্টেশনে এসেছি, এসে দেখি ট্রেন লেট হয়েছে। মানুষ ১২/১৪ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আজকের এই টিকিট কিনেছে। সবাই স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে স্টেশনে অপেক্ষা করছে। এমন ভোগান্তি কি মেনে নেয়া যায়। একবার টিকিট কাটতে আবার যাত্রা পথে এমন বিড়াম্বনা থেকে আমরা সাধারণ যাত্রী মুক্তি চাই।
কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার জানিয়েছেন, ট্রেনের ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। সকালে যে ১২টি ট্রেন স্টেশন ছেড়েছে এর মধ্যে ২/৩টি ট্রেনের কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। ক্রসিংয়ের কারণে মূলত ট্রেনগুলো বিলম্ব হয়েছে। আশা করছি আমাদের বাকি ট্রেনগুলোর টাইম শিডিউল ঠিক থাকবে।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলছেন, ট্রেনের টিকিট যার তাকেই এনআইডি নম্বর দিয়ে কাটতে হচ্ছে। কাজেই এখানে কালোবাজারির সুযোগ নেই। ঈদে ৫০ লাখ মানুষ প্রতিদিন রাজধানী ছাড়বে। রাস্তার সক্ষমতা হলো মাত্র ১৫ লাখ। সহজও এনআইডি কার্ড দিয়েই বিক্রি করেছে। তারা অর্ধেক বিক্রি করেছে আর আমরা অর্ধেক কাউন্টারের মাধ্যমে বিক্রি করেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।