পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
ঈদে বাড়ি ফেরার আমেজ সবার মাঝেই বিদ্যমান। শিকড়ের টানে সকলকেই যেন বাড়ি ফিরতে হয়। বছরে দু’ ঈদে সকলের মাঝে বাড়ি ফেরার প্রবণতা কাজ করে। হাজার বাধা পেরিয়ে ঈদের দিন ও রাতটুকু কাটানোর জন্য শতশত মাইল পারি দিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হতে পারলে যেন এক তৃপ্তি অনুভব হয়। যুগ যুগ ধরে মানুষ এটিই করে আসছে। ঈদের দিন এবং রাতটুকু কাটানোর জন্য নিজ ঘর ছাড়া অন্য কোথাও এ ঈদের আনন্দ নাই। বাংলাদেশের জনবহুল শহরগুলোর মাঝে ঢাকা, চট্টগ্রাম অন্যতম। গ্রাম গঞ্জে বা আশে পাশের ছোট ছোট শহরগুলো থেকে মানুষ জীবিকার সন্ধানে বড় শহরের দিকে ছুটে যায়। কেউবা ছুটে পড়াশোনার তাগিদে, কেউবা ব্যাবসা-বাণিজ্যের কিংবা চাকুরির। জনবহুল এ শহুরগুলোতে বছরের পুরো মাসজুড়ে মানুষের ভিড় জমে। কিন্তু ঈদের কিছুদিন পূর্বে এ শহর যেন হয়ে যায় জনমানবশূন্য। সবাই বাড়ি ফিরতে ব্যস্ত। কোনো দুর্ঘটনা ব্যতীত শহরের অস্থায়ী সকলেই ঈদ উপলক্ষে নিজ বাড়ির দিকে রওনা করে। একসঙ্গে এত মানুষের ঘরে ফেরা যেন পরিবহনের ওপর এক বিশাল চাপ হয়ে ওঠে। এ জন্য প্রতি ঈদে পত্রপত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভিন্ন দুর্ঘটনার খবর প্রায়ই দেখা যায়। ঈদে দুর্ঘটনার প্রবণতা খুবই বেড়ে যায়। জনবহুল এ দেশে ঈদে বাড়ি ফেরাকে কেন্দ্র করে যত মানুষ যানবাহনে গমন করে, সে পরিমাণে পরিবহন, রাস্তা-ঘাট, এমনকি দক্ষ চালকের এক বিশাল স্বল্পতা রয়েছে। এছাড়া ঈদের সময় সমস্ত রকমের গাড়ি, লঞ্চ এমনকি সব রকমের নিষিদ্ধ যানবাহনেরও উদ্ভব রাস্তাঘাটে দেখা যায়। অদক্ষ চালক, শ্রমিকের দক্ষতার অভাব সব মিলিয়ে যেন এক নতুন পরিবেশ সৃষ্টি করে। তাই রাস্তাঘাটে প্রশস্থতা বৃদ্ধি, পরিবহনে কর্মরত সকলের দক্ষতা অনুযায়ী প্রবেশ, পরিবহন আইনের প্রয়োগ, নির্দিষ্ট স্থানে ট্রাফিক কন্ট্রোলসহ লঞ্চ ও ট্রেনের ভ্রমণ নিরাপদ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে নিরাপদে বাড়ি ফেরা অনেকটা নিশ্চিত হবে। সর্বোপরি সকলের সচেতনতা এ বিষয়ে জরুরি।
আবু সুফিয়ান সরকার শুভ
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।