বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হঠাৎ বিস্ফোরণে ময়মনসিংহের নান্দাইলে আতশবাজি ও পটকা তৈরীর বিস্ফোরক কারখানায় দুই নারী শ্রমিক নিহত হয়েছে। এনিয়ে ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে প্রশাসনের ভেতরে-বাইরে।
নিহতরা হলেন- ওই এলাকার আবুল হোসেনের স্ত্রী নাছিমা বেগম (৩০) ও একই গ্রামের আব্দুল গণির স্ত্রী আফিলা বেগম (৪৫)। এ ঘটনায় কারখানার মালিক বোরহান উদ্দিন, তার দুই স্ত্রী ও সন্তানসহ ৫ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
বুধবার (২০ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৬ টার দিকে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঁশাটি গ্রামে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিগত ১০ বছর ধরে অবৈধ ভাবে ব্যবসায়ী মো: বোরহান উদ্দিন এই কারখানায় নানা ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য আতশবাজি ও পটকা তৈরী করে আসছে। অথচ পুলিশ জানে না। তাদের ভাষ্য, পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে গত ১০ বছর ধরে এ কারখানা চলবে, এটা কখনো বিশ্বাসযোগ্য না।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আকন্দ। তিনি দাবি করেন, অবৈধ ভাবে পটকা তৈরীর কোন তথ্য জানা ছিল না। বিস্ফোরনের পর বিষয়টি প্রকাশ হয়েছে। এ ঘটনার মূলহোতা মালিক বোরহান উদ্দিনকে আটকের চেষ্টা চলছে।
এদিকে বিস্ফোরনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহা: আহমার উজ্জামান। পরিদর্শনে তাঁর সাথে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) শেখ মোস্তাফিজুর রহমান। এ সময় ঘটনাস্থল এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ নানা ধরনের পটকা ও পটকা তৈরীর উপাদান উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) শেখ মোস্তাফিজুর রহমান।
পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন জেলা পুলিশ সুপার(এসপি) মোহা: আহমার উজ্জামান। এ সময় তিনি বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে জেনেছিলাম এখানে স্বল্পপরিমান পটকা তৈরী হতো। কিন্তু ঘটনাস্থলে এসে দেখেছি বিপুল পরিমান পটকা এখানে তৈরী হতো। এটি অবৈধ ব্যবসা, এই কারখানার কোন অনুমোদন নেই। এর সাথে যে বা যারাই জড়িত, তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।
এসপি আরও বলেন, এখানে বিপুল সংখ্যক পটকা ও পটকা তৈরীর উপাদানের পাশে একটি বিস্ফোরিত গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়া গেছে। মূলত এসব থেকেই বিস্ফোরণ হয়েছে। এটা ছাড়া এখানে অন্য কোন ঘটনা নেই।
তবে বিস্ফোরণের সময় বজ্রপাত হচ্ছিল বলেই প্রথমে বজ্রপাতের কথা বলা হয়েছিল। এখন সিআইডির এক্সপার্টরা কাজ করছে, কাজ শেষ হলে বিস্তারিত জানা যাবে।
অপরদিকে বিস্ফোরকের ঘটনায় নিহত শ্রমিক আফিলা বেগমের স্বামী আব্দুল গণি এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি করেছেন। তিনি বলেন, আমার স্ত্রী আফিলা বেগম গত ৬ থেকে ৭ মাস যাবত সপ্তাহে আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা মুজুরীতে শ্রমিকের কাজ করত। তবে এখানে কতদিন যাবত পটকা তৈরী হত তা আমার জানা নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।