Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মরিপোল থেকে আরও এক ব্রিটিশ সেনা আটক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০২২, ১১:৫০ এএম

ইউক্রেনের অবরুদ্ধ শহর মারিউপোল থেকে আটক করা একজন সাবেক ব্রিটিশ সেনাকে রুশ টেলিভিশনে দেখানো হয়েছে। শন পিনার নামের ৪৮ বছর বয়সী ওই সৈনিক বলেছেন, তিনি ইউক্রেনের নৌসেনাদের সঙ্গে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিলেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শনিবার রুশ গণমাধ্যমে প্রচারিত ছোট এক ভিডিওতে শন পিনারকে ক্লান্ত ও বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখা গেছে। ভিডিওতে তিনি বলছেন, ‘আমার নাম শন পিনার। আমি একজন ব্রিটিশ নাগরিক। মারিউপোল থেকে আমাকে আটক করা হয়েছে। আমি ৩৬ ব্রিগেড ফার্স্ট ব্যাটালিয়ন ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীতে কাজ করছিলাম। প্রায় পাঁচ থেকে ছয় সপ্তাহ ধরে আমি মারিউপোলে রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলাম। এখন আমি দোনেৎস্ক রিপাবলিকে আছি।’
ভিডিওটি কখন ধারণ করা হয়েছে অথবা কীভাবে পিনার ধরা পড়েছেন, সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। তিনি তাঁর ২৮ বছর বয়সী বন্ধু আইডেন আসলিনের সঙ্গে যুদ্ধ করছিলেন। আসলিন ছিলেন নটিংহামশায়ারের বাসিন্দা। গোলাবারুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় গত সপ্তাহে আসলিনের ব্যাটালিয়ন রুশ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কমনওয়েলথ কার্যালয় জানিয়েছে, আটক হওয়া দুই ব্রিটিশ নাগরিককে সহায়তা দিতে ইতিমধ্যে তারা তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন। তবে যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনে থাকা ব্রিটিশ নাগরিকদের তথ্য পেতে সমস্যা হচ্ছে এবং কনস্যুলার সেবা দেওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে।
গার্ডিয়ান জানিয়েছে, শন পিনার যুক্তরাজ্যের বেডফোর্ডশায়ারে বাস করতেন। প্রায় চার বছর আগে তিনি ইউক্রেনে পাড়ি জমান এবং স্ত্রীকে নিয়ে দনবাসে থাকতে শুরু করেন। তিনি যুক্তরাজ্যের রয়্যাল অ্যাংলিয়ান রেজিমেন্টের একজন প্রাক্তন সৈনিক।
ভিডিওতে পিনার বলেছেন, ‘আমি আমার জীবন নিয়ে শঙ্কিত। আমরা ব্রিটিশ বন্দী বলে রুশরা আমাদের সঙ্গে অন্যরকম আচরণ করে। এই ভয় আমার মনকে সব সময় আতঙ্কিত করে রাখে যে আমি একজন বন্দী।’ সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউক্রেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ