মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রকে দেয়া আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক বার্তায় ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহে পরিপ্রেক্ষিতে মস্কো বলেছে, এটি ‘অভাবনীয় পরিণতির’ দিকে ঠেলে দিতে পারে।
ওই কূটনৈতিক বার্তার একটি অনুলিপি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমগুলোতে আলোচনা হচ্ছে। দুই পৃষ্ঠার কূটনৈতিক বার্তাটি ওয়াশিংটনে অবস্থিত রুশ দূতাবাস যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করেছে। কূটনৈতিক বার্তায় সতর্ক করে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর অস্ত্র সরবরাহ ইউক্রেন সঙ্কটে ‘আগুনে ঘি’ ঢালার মতো কাজ করছে। এটি ‘অভাবনীয় পরিণতির’ দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে রুশ কূটনীতিকেরা ইঙ্গিত করেছেন।
ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ধাপে আরও অস্ত্র-সহায়তার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই গত মঙ্গলবার এই কূটনৈতিক বার্তা দেয়া হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পরই ইউক্রেনের জন্য ৮০০ মিলিয়ন ডলারের নতুন অস্ত্রের চালান অনুমোদন করেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এসব অস্ত্রের মধ্যে এই প্রথম হাউইটজারের মতো দীর্ঘ পাল্লার কামানও যুক্ত করা হয়েছে। মার্কিন প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর অস্ত্র সরবরাহ যে কাজে দিচ্ছে, রাশিয়ার হুঁশিয়ারিকে তার স্বীকৃতি হিসেবে দেখা যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ অস্ত্র-সহায়তার প্রথম চালান আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ইউক্রেনে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশটির পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনের বিতর্কিত ডনবাস অঞ্চলে সম্ভাব্য বড় ধরনের হামলার আগে তাদের সেখানে জড়ো করা হচ্ছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। এর পর থেকে ইউক্রেনকে তিন বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া ন্যাটো সদস্য দেশগুলোও ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে আসছে।
ইউক্রেনকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে হেলিকপ্টার, সাঁজোয়া যান, বিমান-বিধ্বংসী স্টিংগার, ট্যাংক-বিধ্বংসী জ্যাভলিন, কামিকাজ ড্রোন, গ্রেনেড লঞ্চার ও গোলাবারুদ। যুদ্ধক্ষেত্রে বিশেষ করে ট্যাংক-বিধ্বংসী জ্যাভলিনের কার্যকারিতা ঈর্ষণীয়, যা রুশ বাহিনীর জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।