পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অতনু বর্মণের ইশারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ৪র্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলার রোডের উদয়ন স্কুলের সামনে মারধরের ঘটনা ঘটে। তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন অতনু।
অতনু বর্মণ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের অনুসারী। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান সজীব হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, উদয়ন স্কুলের সামনে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সজীবকে অতনু বর্মণের নেতৃত্বে মারধর করা হয়। পরবর্তীতে কয়েকজন মিলে ভুক্তভোগীকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে যায়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সজীব বলেন, স্বাধীনতার সংগ্রাম ভাস্কর্যের পাদদেশ হয়ে বাইক নিয়ে আসার সময় আমার এক বন্ধু হাসিব আমাকে ডাক দেয়। আমি বাইকে ইউ-টার্ন নেওয়ার সময় জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অতনু বর্মণ তার অনুসারীদের নিয়ে বাইক বহরে আমার সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। ওইসময় একটি সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়িয়ে আমি বাইক থামিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাই। তখন উনারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করলে আমি প্রত্যুত্তরে বলি, এই ভাই, খাঁড়ান!
এ কথা বলার পরপরই হঠাৎ করে অতনু বর্মণের নেতৃত্বে আমার ওপর জগন্নাথ হলের ওনার অনুসারী আনুমানিক ২০ জন এলোপাতাড়ি আক্রমণ করে। প্রায় কয়েক মিনিট ধরে গণহারে পিটুনি দেয়। আমার মাথা, কান, গলায়, হাত ও পায়ে, পিঠে তীব্রভাবে আঘাত করে। ‘আক্রমণের সময় আমি নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র পরিচয় দিয়ে বারবার বলার পর তারা মারা থামায়নি। বরং তারা আমাকে আক্রমণ আরও বেশি হারে চালিয়ে যায়।’
পরে তাঁর দুই বন্ধু এসে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান বলেন জানান সজীব। একই সঙ্গে অফিশিয়ালি সব ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
অভিযুক্ত অতনু বর্মণ বলেন, উল্টোদিক থেকে মোটরসাইকেল চালানো নিয়ে সামন্য কথা-কাটাকাটি হয়েছে। আমার পরিচয় পাওয়ার পর সরি বলে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। কোনো ধরনের মারধরের ঘটনা ঘটেনি। আর আমি একা ছিলাম। আমার সঙ্গে কেউ ছিল না।
হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার কথা উল্লেখ করা হলে অতনু বর্মণ বলেন, আমি চলে যাওয়ার পরে তার সঙ্গে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে তা আমি জানি না। তবে আমি তাকে কোনো মারধর করিনি।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে একাধিকবার ফোন ও এসএমএস দিলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।