মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। এদিকে, মঙ্গলবার ইউক্রেনের বন্দর শহর মারিউপোলে একজন ব্রিটিম যোদ্ধাসহ এক হাজারের বেমি ইউক্রেনীয় সেনা রুশ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। এদিন জার্মান প্রেসিডেন্টের সফর ঘিরে ইউরোপের সাথে ইউক্রেনের তিক্ততার সম্পর্ক প্রকাশ পেয়েছে। অন্যদিকে, মঙ্গলবার ইউক্রেনে বিরোধী মত দমনের লক্ষ্যে প্রধান বিরোধী নেতাকে গ্রেফতার করা হলেও পশ্চিমারা রহস্যজনকভাবে নীরব ভূমিকা পালন করছে।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমের কাছে রুশ প্রেসিডেন্ট জানান, বড় আকারে সৈন্য প্রত্যাহার সত্ত্বেও অভিযানটি পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে। পুতিন জানান, আক্রমণের লক্ষ্য ছিল মস্কো-সমর্থিত বিদ্রোহীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত পূর্ব ইউক্রেনের কিছু অংশে জনগণকে রক্ষা করা এবং ‘রাশিয়ার নিজস্ব নিরাপত্তা নিশ্চিত করা’। তিনি বলেন, রাশিয়ার কাছে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করা ছাড়া অন্য কোন বিকল্প ছিল না। সম্পূর্ণ সমাপ্তি এবং নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকবে। এছাড়া মঙ্গলবার বুচা শহরে রাশিয়ান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ওঠা গণহত্যার অভিযোগকে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যায়িত করেছেন পুতিন।
তিনি জানান, ইউক্রেনের সামরিক অভিযানে ক্ষতি কমিয়ে পরিকল্পিত লক্ষ্যগুলি অর্জন করতে শান্ত এবং ছন্দবদ্ধভাবে এগিয়ে চলেছে রুশ বাহিনী। তিনি আরও বলেন, ‘পশ্চিমারা রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করতে ব্যর্থ হবে। অর্থনীতি নিষেধাজ্ঞার সহ্য করার ক্ষমতা রয়েছে রাশিয়ার।’ উল্লেখ্য, ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া রুশ সামরিক অভিযানের পর থেকে মস্কোতেই অবস্থান করছিলেন পুতিন। মঙ্গলবার মস্কোর বাইরে ভোস্টোচনি মহাকাশ উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি। যুদ্ধ শুরুর পর মস্কোর বাইরে এটিই ছিল তার প্রথম কোন কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ।
মারিউপোলে ব্রিটিশ যোদ্ধাসহ হাজারের বেশি ইউক্রেনীয় সেনার আত্মসমর্পণ : রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর-জেনারেল ইগর কোনাশেনকভ গতকাল বলেছেন, মারিউপোলে ১৬২ জন কর্মকর্তা এবং ৪৭ জন মহিলা সেনা সদস্য সহ ১ হাজার ইউক্রেনীয় সেনা আত্মসমর্পণ করেছে। জানা গেছে, তাদের মধ্যে একজন ব্রিটিশ যোদ্ধাও রয়েছে।
‘রাশিয়ান বাহিনী এবং ডোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের মিলিশিয়া ইউনিটের সফল আক্রমণাত্মক অভিযানের ফলস্বরূপ, ৩৬ তম মেরিন ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের ১ হাজার ২৬ জন ইউক্রেনীয় সৈন্য স্বেচ্ছায় তাদের অস্ত্র ত্যাগ করেছে মারিউপোল শহরের ইলিচা ধাতু কারখানার এলাকায় আত্মসমর্পণ করেছে। যারা আত্মসমর্পণ করেছে তাদের মধ্যে ১৬২ জন অফিসার এবং ৪৭ জন মহিলা সার্ভিস সদস্য রয়েছে,’ মুখপাত্র বলেছেন। ৩৬ তম মেরিন পদাতিক ব্রিগেডের মোট ১৫১ জন আহত ইউক্রেনীয় সৈনিক ঘটনাস্থলে প্রাথমিক চিকিৎসা সহায়তা পেয়েছিলেন, যার পরে তাদের সবাইকে চিকিৎসার জন্য মারিউপোল শহরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, জেনারেল নির্দিষ্ট করে বলেছেন।
নটিংহামশায়ারের একজন বাসিন্দা ইউক্রেন সংঘাতে প্রথম ব্রিটিশ যুদ্ধবন্দী হতে পারেন। এইডেন আসলিন নামের ২৮ বছর বয়সী ওই সৈনিক মাইকোলাইভের একজন নারীর প্রেমে পড়ার পরে ২০১৮ সালে ইউক্রেনে চলে যান এবং এখন কৃষ্ণ সাগরের অবরুদ্ধ বন্দর শহর মারিউপোলে মেরিনদের একটি ইউনিটের সাথে যোগ দিয়ে লড়াই করছিলেন। রাশিয়ান অবরোধের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে, অ্যাসলিনের দল খাদ্য ও গোলাবারুদ ফুরিয়ে গিয়েছিল এবং রাশিয়ানদের কাছে আত্মসমর্পণ করা ছাড়া তাদের আর কোন উপায় ছিল না। ব্রিটেনের একজন পরিচিতি প্রকাশ করেছে যে, তাদের সাথে অ্যাসলিনের ফোনে কথা হয়েছে।
সেই কথোপকথনের অ্যাসলিন বলেছিলেন, ‘৪৮ দিন হয়ে গেছে, আমরা মারিউপোলকে রক্ষা করার জন্য আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি কিন্তু রাশিয়ান বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করা ছাড়া আমাদের কোন বিকল্প নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে খাবার নেই, গোলাবারুদও নেই। এটা সবার জন্য কষ্টের, আমি আশা করি এই যুদ্ধ শীঘ্রই শেষ হবে।’ সূত্র জানিয়েছে যে, কর্তৃপক্ষ বন্দি বিনিময়ের বিষয়ে কিছু জানানোর আগে অ্যাসলিনের পরিবারের সাথে কথা বলেছে।
ইউরোপের সাথে তিক্ততার প্রকাশ ইউক্রেনের : অতীতের ‘পুতিন-প্রীতি’-র কারণে কিয়েভ সফরের ইচ্ছা পূরণ হলো না জার্মান প্রেসিডেন্টের। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার সাথে বার্লিনের ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্কের প্রতিক্রিয়ায় কিয়েভ সফরে তার জার্মান প্রতিপক্ষের প্রচেষ্টাকে বাধা দিয়েছেন। এর মাধ্যমে ইউরোপের সাথে ইউক্রেনের তিক্ত সম্পর্কের অনেকটাই প্রকাশ পেয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান দুই চালিকা শক্তি হচ্ছে জার্মানী ও ফ্রান্স। দুই দেশই রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং ইউক্রেন ইস্যুতে খুব একটা শক্ত অবস্থানে আসতে রাজি হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার সাথে কোয়াড চুক্তির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের উপরেক্ষুব্ধ ফ্রান্স। তবে নির্বাচন উপলক্ষে ইউক্রেন ইস্যুতে তারা খুব একটা মুখ খোলেনি। যদিও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ইউক্রেন অভিযান শুরুর পর পুতিনের সাথে বেশ কয়েকবার ফোনালাপ করেছেন এবং রাশিয়ার উপরে বেশি নিষেধাজ্ঞা না দিয়ে আলোচনরা পথ খোলা রাখতে বলেছেন। তাদের আরেক সদস্য দেশ হাঙ্গেরি তো সরাসরি জোটের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে রাশিয়ার সাথে বাণিজ্য অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে।
মঙ্গলবার রাশিয়ার তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রবর্তনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রচেষ্টাকে থামানোর অভিযোগে জার্মানির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল। সম্প্রতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যুদ্ধ সত্ত্বেও কিয়েভ সফর করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কির পাশে দাঁড়িয়েছেন। ঝুঁকি সেেত্ত্বও তার এই প্রতীকী সফর নজর কেড়েছে। কিন্তু জার্মানি থেকে কোনো শীর্ষ নেতা এখনো কিয়েভে যান নি। জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ার সেই উদ্যোগ নিলেও কিয়েভের নেতৃত্ব নাকি তাকে সেখানে চায় না। সোমবার পোল্যান্ড সফরের সময়ে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন খোদ জার্মান প্রেসিডেন্ট। উল্লেখ্য, পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে দুদা সম্প্রতি পোল্যান্ড, জার্মানি ও বাল্টিক অঞ্চলের তিন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের যৌথ কিয়েভ সফরের উদ্যোগ নিচ্ছিলেন। সেই উদ্যোগে শামিল হওয়া সম্ভব নয় বলে জানালেন জার্মান প্রেসিডেন্ট।
প্রথমে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তারপর প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্টাইনমায়ার বরাবর রাশিয়া তথা সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার আন্তরিক চেষ্টা চালিয়ে গেছেন বলে সাম্প্রতিক যুদ্ধের সময় থেকেই ইউক্রেনে তার প্রতি ক্ষোভ দেখা যাচ্ছিল। জার্মানিতে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত আন্দ্রিই মেলনিক খোলাখুলি জার্মান প্রেসিডেন্টের ‘পুতিন-প্রীতি’ সম্পর্কে মন্তব্য করার পর স্টাইনমায়ার নিজে এমন মনোভাব ব্যাখ্যা করে আত্মসমালোচনা করেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও কিয়েভের ক্ষোভ প্রশমন হয় নি বলে মনে করা হচ্ছে। এমনই প্রেক্ষাপটে ইউক্রেন সরাসরি জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসকে কিয়েভে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বিশেষ করে আরও জোরালো অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের বিষয়ে জেলেনস্কি তার সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনা করতে চান। শলৎস অবশ্য এ ক্ষেত্রে একক পদক্ষেপের বদলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সমন্বয়ের পক্ষে সওয়াল করেছেন।
মেলনিক বলেন, প্রতীকী সফরের তুলনায় ইউক্রেনকে অবিলম্বে আরও সহায়তা করতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বেশি জরুরি। ইউরোপের একাধিক দেশ যেভাবে একক উদ্যোগে ইউক্রেনকে ভারি অস্ত্র পাঠাচ্ছে, জার্মানিরও তেমন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। ইউক্রেন সংকটকে ঘিরে ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে রয়েছে জার্মানি। অতীতের নীতি ঝেড়ে ফেলে বার্লিন যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র ও সামরিক সহায়তা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেও রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানির প্রশ্নে এখনো ‘সাহসি’ পদক্ষেপ নিতে নারাজ শলৎসের সরকার। যার ফলে ইউক্রেন ইস্যুতে ইউরোপের মধ্যে বিভেদ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
ইউক্রেনে প্রধান বিরোধী নেতা গ্রেফতার, দ্বিমুখী আচরণ পশ্চিমাদের : সারা বিশ্বেই বিরোধী মত দমনের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে দেখা যায় পশ্চিমা মিডিয়াগুলোকে। গত বছর রাশিয়ার বিরোধী নেতা নাভালনির গ্রেফতারি নিয়েও অসংখ্য সমালোচনামূলক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানও বিবৃতি দিয়ে সে ঘটনার নিন্দা জানিয়েছিলেন। অথচ, একই ঘটনা যখন ইউক্রেনে ঘটছে তখন বিপরীত চিত্র প্রকাশ পাচ্ছে।
মঙ্গলবার ইউক্রেনে রুশপন্থি রাজনীতিক ভিক্টর মেদভেদচুককে গ্রেফতার করেছে দেশটির নিরাপত্তা সেবা সংস্থা। রাশিয়ার অভিযান শুরুর পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন এবং ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর পোশাক পরিহিত অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। ইউক্রেনের নিরাপত্তা সেবা সংস্থা এসবিইউ একটি ছবি প্রকাশ করেছে যেখানে মেদভেদচুককে হাতকড়া পরা এবং ইউক্রেনীয় সামরিক পোশাকে অবসন্ন অবস্থায় দেখা যাচ্ছে।
রাষ্ট্রদ্রোহীতার সন্দেহে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে গৃহবন্দি ছিলেন ভিক্টর মেদভেদচুক। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পরপরই তিনি পালিয়ে যান। তবে কোনো ধরনের অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন ৬৭ বছর বয়সী মেদভেদচুক। মঙ্গলবার রাতে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় ভিক্টর মেদভেদচুককে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বক্তৃতায় মেদভেদচুককে মুক্তি দেয়ার বিনিময়ে রাশিয়ার হাতে আটক ইউক্রেনীয় নারী ও পুরুষ বন্দিদের মুক্তির প্রস্তাব দেন তিনি।
বক্তৃতার আগে ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘বিশেষ অভিযানের’ মাধ্যমে ভিক্টর মেদভেদচুককে গ্রেফতার করেছে ইউক্রেনের নিরাপত্তা সেবা সংস্থা এসবিইউ। পরে এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের এ সংস্থাটি জানায়, ‘আপনি একজন রাশিয়াপন্থি রাজনীতিবিদ হতে পারেন এবং বছরের পর বছর ধরে আগ্রাসী রাষ্ট্রের পক্ষে কাজও করতে পারেন। আপনি সাম্প্রতিককালে ন্যায়বিচার থেকে পালানোর চেষ্টা করতে পারেন এবং এমনকি ছদ্মবেশের জন্য ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর ইউনিফর্মও পরতে পারেন।’ বিবৃতিতে সংস্থাটি আরও জানায়, ‘কিন্তু (এসবের মাধ্যমে) আপনি কখনও শাস্তির হাত থেকে রক্ষা পাবেন? কখনোই না! শেকল আপনার জন্য অপেক্ষা করছে এবং ইউক্রেনের বিশ্বাসঘাতকদের ব্যবস্থাও আপনার মতোই হবে।’
অর্থাৎ, শুধুমাত্র রাশিয়াকে সমর্থন করার ‘অপরাধেই’ মেদভেদচুককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আবার রীতিমতো গর্ব করে প্রকাশ্যে সেই কথা জানিয়েছেন। কিন্তু পশ্চিমা মিডিয়াগুলো এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার কোন সমালোচনা করা তো দূরে থাক, উল্টো জেলেনস্কিকে প্রশংসায় ভাসিয়ে দিচ্ছে। এ ধরণের দ্বি-মুখী ভূমিকা পালন করতে তাদেরকে প্রায়শই দেখা যায়।
বছরের পর বছর ধরে ভিক্টর মেদভেদচুক ছিলেন ইউক্রেনের রাজনীতির কেন্দ্রে। কারণ ক্রেমলিনের সাথে যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যানেল হিসেবে তাকে দেখা হতো। কিন্তু ২০২১ সালের মে মাসে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়। অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে তিনি বরাবরই ‘রাজনৈতিক দমনপীড়ন’ বলে আখ্যায়িত করে আসছেন। মঙ্গলবার রাশিয়া বলেছে যে, তারা ভিক্টর মেদভেদচুকের গ্রেপ্তারের তথ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘এখন ইউক্রেন থেকে এতো মিথ্যা তথ্য আসছে যে সবকিছুই যাচাই-বাছাই করা দরকার।’ সূত্র : ইউকে মেট্রো, তাস, দ্য টেলিগ্রাফ, এপি, দ্য গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।