মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়ার ওপর বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জ্বালানি নিষেধাজ্ঞার পরিণাম ভালো হবে না বলে সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছে তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক। এদিন অনুষ্ঠিত সম্মেলনে রুশ জ্বালানির ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়েও কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ইইউ।
সোমবার ওপেকের মহাসচিব মোহাম্মদ বারকিন্দো বলেন, এসব নিষেধাজ্ঞার কারণে তেল সরবরাহ ব্যবস্থায় ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে। এতে ইউরোপে যে তেল সঙ্কট তৈরি হবে, তা পূরণের জন্য বিকল্প উৎস নেই বলে সতর্ক করেন তিনি। এ দিন ইইউ’র কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা নীতিবিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি জোসেপ বোরেল জানান, ইইউ’র সদস্যদেশগুলো এ দিন রাশিয়ার তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
এ দিন লুকসেমবার্গে ইইউ’র সদস্যদেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে রুশ জ্বালানির ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য দেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। সম্মেলনের পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বোরেল বলেন, ইইউ রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, ইইউ ইউক্রেনকে আরও ৫০ কোটি ইউরো মূল্যের সামরিক সাহায্য দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইউক্রেনে হামলার প্রতিক্রিয়ায় সম্প্রতি রাশিয়া থেকে বিভিন্ন জ্বালানি পণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। ইউরোপীয় ইউনিয়নও যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের পথ অনুসরণ করার পরিকল্পনা ঘোষণা করে। রাশিয়ার জ্বালানির ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নির্ভরতা কম, তবে ইউরোপের ক্ষেত্রে তা নয়।
ইউরোপে জ্বালানি আমদানির একটা বড় অংশ রাশিয়া থেকে আসে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করার এ প্রচেষ্টা ভয়াবহ ফল বয়ে আনতে পারে। বিশেষ করে, জার্মানির গোটা শিল্পব্যবস্থায় ধস নামার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অস্ট্রিয়াভিত্তিক বহুজাতিক জ্বালানি কোম্পানি ওএমভির প্রধান ইতিমধ্যে বলেই দিয়েছেন যে, রাশিয়ার কাছ থেকে গ্যাস কেনা বন্ধ করাটা তার দেশের জন্য অসম্ভব।
এর মধ্যেই ওপেকের মহাসচিবও বলেন, জ্বালানি নিষেধাজ্ঞার ফল ইউরোপের জন্য ভয়াবহ হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কর্মকর্তাদের সতর্ক করে তিনি বলেন, মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা আরোপের কারণে বিশ্ববাজারে প্রতিদিন রাশিয়ার ৭০ লাখ ব্যারেল পরিমাণ তেল সরবরাহ কমে যাবে।
গত সপ্তাহে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট রাশিয়ার তেল, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস ও পারমাণবিক জ্বালানির ওপর পুরোপুরিভাবে এবং অবিলম্বে অবরোধ আরোপের দাবি করেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এ দাবি পূরণ হলে ইউরোপীয়দের জীবন মানের ওপর এর উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ার মতো কিছু দেশ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, নিজেদের স্বার্থে নিষেধাজ্ঞার এ পরিকল্পনা উপেক্ষা করবে তারা। কোনো কোনো দেশ আবার তাদের নাগরিকদের সতর্ক করেছে, সামনে সঙ্কটের সময় আসছে। এর জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে তাদের। সূত্র: সিআরআই, আরটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।