Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মাতৃত্বের স্বাদ পেতে হাইকোর্টের বিচারকের দ্বারস্থ এক আসামির স্ত্রী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০৬ এএম

রাজস্থানের এক অন্য কাহিনী। এক মহিলার মা হওয়ার বাসনা। এদিকে তার স্বামী জয়পুরের জেলে। তাই বিচারকের কাছে কিছুদিনের জন্য নিজের স্বাামীকে ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চাইলেন। ১৫ দিনের জন্য বিচারকের কাছে সেই স্বামীর ঘরে ফেরার অনুমতি চাইলেন। এই মহিলা কিন্তু প্রথমেই স্বামীকে কিছুদিনের জন্য ঘরে ফেরাতে বিচারকের কাছে যাননি। প্রথমে তিনি গিয়েছিলেন কালেকটরের কাছে। তার কাছে গিয়ে স্বামীকে কিছুদিনের জন্য ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করে দিতে বলেন। কিন্তু মা হওয়ার ইচ্ছে জাগা সেই মহিলার কথায় চিড়ে ভেজেনি। তারপর উপায় না দেখে তিনি নিজেই হাইকোর্ট বা উচ্চ আদালতের দরজায় কড়া নেড়ে স্বামীকে কয়েকদিনের জন্য ঘরে ফিরিয়ে আনার অনুমতি ঠিক আদায় করে নিয়ে আসেন। তার কথা শুনে মানবিকতার খাতিরে ১৫ দিনের জন্য প্যারোলে ছাড়া পান সেই মহিলার স্বামী।
এর আগে বছর খানেক আগে প্রায় ১১ মাস পূর্বে মাত্র ১২ দিনের জন্য বাড়ি আসার অনুমতি পেয়েছিল মহিলার স্বামী। মহিলাটি একথা বলার পরই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল বিচারক। প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা পান ভিলওয়ারা জেলার রাবারি কি ধানি এলাকার বাসিন্দা নন্দলাল। সাজা হওয়ার কিছুদিন আগেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন তিনি। কিন্তু মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার দরুণ বিয়ের কয়েকদিন পরই জেলবন্দী হন তিনি। তাই বিবাহিত জীবন কাটানোর সুযোগ সেইভাবে আসেনি তার কাছে। ২০১৯-এ জেলে যাওয়ার পর গতবছর অর্থাৎ ২০২১ সালে মাত্র ১২ দিনের জন্য নতুন বৌয়ের কাছে আসার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। এরপর অতিমারি করোনা পরিস্থিতির জন্য পরিবার ও স্ত্রীর সঙ্গে সেইভাবে দেখাসাক্ষাৎও হয়নি নন্দলালের। নন্দলালের স্ত্রী একটি দরখাস্ত লিখে কালেকটর ও জেলের অফিসারদের কাছে উকিল নিয়ে গিয়েছিলেন। নেপথ্য কারন ছিল একটাই। মা হতে চান নন্দলালের বৌ। কিন্তু জেলের অফিসাররা এই বিষয়টাকে পাত্তা দিতে একেবারে নারাজ ছিল।
অবশেষে কোনও উপায় না দেখে হাইকোর্ট বা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। সেখানে বিচারকের সামনে নিজের মনের কথা খুলে বলেন তিনি। সেই সঙ্গে নন্দলালের বৌ বলেন, তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা চলছে ঠিকই, তবে তিনি জেনে বুঝে কোনো কাজ করেননি সেই কথাও বলেন মা হওয়ার বাসনা জাগা নন্দলালের স্ত্রী। তারা সকলেই জেলের, পুলিশের কড়া নিয়ম পালন করছেন, তবে তারা কিন্তু কেউই দাগী আসামী নয়। এশিয়ানেট নিউজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ