বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হাওরবেষ্টিত সুনামগঞ্জে সুরমাসহ বিভিন্ন নদীর পানি বেড়ে একের পর এক ভাঙছে বাঁধ। আর এতে তলিয়ে যাচ্ছে হাওরপাড়ের কৃষকের বোরো ফসল। সবশেষ শুক্রবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরে আরও একটি বাঁধ ভেঙে প্রায় ১০০ একর বোরো ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
এদিন উপজেলার এরাইল্লা কোনা মনদিয়াতা বাঁধটি ভেঙে গিয়ে এ ফসলহানির ঘটনা ঘটে। হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধে বিপর্যয় দেখা দেওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে সেসব অঞ্চলের কৃষকের।
বাঁধ ভাঙার বিষয়টি নিশ্চিত করে তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান কবীর বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওরে যে বাঁধটি ভেঙেছে সেটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের না। আমরা সরজমিনে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। পরে বিস্তারিত বলতে পারবো।
স্থানীয় এক কৃষক বলেন, বাঁধ দিয়া কিতা লাভ হইলো, আমরা ত ফসল ঘরে তুলতে পারলাম না। এখন ছেলে-মেয়ে নিয়া সারাবছর কীভাবে কাটামু।
আরেক কৃষক বলেন, সরকার শতকোটি টাকা বরাদ্দ দেয় হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য। কিন্তু সে টাকা দিয়ে পিআইসির (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) সদস্যরা ঠিকমতো কাজ করেন না। ঠিকমতো কাজ করলে এতো অল্প পানিতে বাঁধ ভাঙতো না।
গত এক সপ্তাহে জেলার তাহিরপুর, ধর্মপাশা, শাল্লা ও দিরাই এই চার উপজেলায় নয়টি বাঁধ ভেঙে কয়েক হাজার হেক্টর বোরো ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় সেসব অঞ্চলের কৃষকের মনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছিল। কিন্তু উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আবারও নতুন একটি বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে বোরো ফসলের ক্ষতি নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে কৃষকদের মাঝে। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে জেলার ১১টি উপজেলায় ফাটল দেখা দেওয়া বাঁধগুলো দিনরাত পাহারায় রেখেছে হাওর পাড়ের মানুষেরা।
গত ১ এপ্রিল তাহিরপুরের নজরখালী বাঁধ ভেঙে ১২০ হেক্টর বোরো ফসল তলিয়ে যায়। এরপর একে একে আরও আটটি বাঁধ ভেঙে যায়। এছাড়াও জেলার ছোটবড় সব হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।