Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুষ্টিয়ায় এক প্রধান শিক্ষকের রোমান্টিক টিকটকে বিব্রত শিক্ষার্থীরা

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রির্পোটার | প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০২২, ৪:৫৮ পিএম

 

কুষ্টিয়ার মিরপুরের তালবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিনের রোমান্টিক কয়েকটি টিকটক ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে বিব্রত বোধ করছেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এদিকে ওই শিক্ষিকা ইতিপূর্বে নানা কান্ডে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন। যার স্মারক সংখ্যা- বিঅ- ০৬/৪৮৪৩/২২৫ সূত্র - ১৯/১২/২০২১ খ্রি. তারিখের আপিল এন্ড আর্বিট্রেশন কমিটির ৭৮ তম সভার ১১ নং ক্রমিকের অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এদিকে অন্য বিদ্যালয়ে এসে টিকটক কান্ডের ফলে নতুন করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ওই প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন। তিনি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তালবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত প্রধান শিক্ষক।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওই টিকটক ভিডিওতে দেখা যায় বিভিন্ন রোমান্টিক বাংলা গান, হিন্দি গান এবং বাদাম বাদাম গানের তালে নানান অঙ্গভঙ্গিতে নাচ করছেন তিনি। তার এ গানের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকেও অনেকেই দিচ্ছেন ভিন্নমত।

এদিকে নারী প্রধান শিক্ষকের এমন কাণ্ডে হতবাক কুষ্টিয়া জেলার সচেতন মহলও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তালবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানায়, ম্যাডামের ভিডিও ফেসবুকে দেখার পরে লোকজন বলাবলি করছে যে তোদের স্কুলের ম্যাডাররা নাকি নাচানাচির ভিডিও তৈরি করে ইন্টারনেটে ছাড়ে? এমন প্রশ্ন শুনে আমরা লজ্জিত বোধ করছি।

তালবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, টিকটক করা একটি ভিডিও আমিও দেখেছি। স্কুলের শিক্ষার্থীই আমাকে ভিডিওটি দেখিয়েছেন। দেখে একটু বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছিলাম। তবে আমি ম্যাডামকে বলেছিলাম ভিডিওটি ভালো লাগেনি। উনি কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণ করেছেন। শিক্ষার্থীদের সামনে লজ্জায় কোনো কথাই বলতে পারছিনা। অন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও আমাদের নিয়ে হাসাহাসি করছেন।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন বলেন, আমার মতো অনেকেই তো টিকটক করে। তাদের টিকটক তো সামনে আসে না। তাহলে আমারটি কেনো?

উপজেলার তালবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আরিফুল ইসলাম জানান, ভুলক্রমেই ম্যাডামের ফেসবুক আইডিতে উনি টিকটক ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। বিষয়টি জানার পর আমি কথা বলেছি। তবে এ ব্যাপারে তিনি অনুতপ্ত। তার ভুল নিজেই স্বীকার করেছেন। এরপর এমনটি আর হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হায়দার জানান, বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

সচেতন নাগরিক কমিটির কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি রফিকুল আলম টুকু জানান, শিক্ষকতা একটি আদর্শের পেশা। শিক্ষার্থী ও সমাজের মানুষ তাদের অনুসরণ করেন। প্রধান শিক্ষকের এমন টিকটক ভিডিও এটি সমাজের অবক্ষয় ছাড়া আর কিছুই না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিব্রত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ