Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিন মন্ত্রীর অতিকথনে বিব্রত সরকার

প্রকাশের সময় : ১২ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:০৬ এএম, ১২ মার্চ, ২০১৬

তারেক সালমান : আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোট সরকারের নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের অতিকথনে বিব্রত সরকার। ২০১১ সালের আগস্ট মাসে নৌ-মন্ত্রী ‘যারা সিগনাল চেনে, গরু-ছাগল  চেনে, মানুষ চিনলেই তারা ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে পারে’ বলে বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছিলেন। গত বুধবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসের এক অনুষ্ঠানে বিগত বাংলা নববর্ষবরণে ঘটে যাওয়া নারী নিগ্রহকে ‘তেমন কিছু নয়’ এবং ‘এ ধরনের টুকিটাকি ঘটনা ঘটতেই পারে’ এমন বক্তব্য দিয়ে দেশজুড়ে আবারও সমালোচনার ঝড় তোলেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। তবে তার বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গে সমাজের সব সচেতন মহলে প্রচ- সমালোচনার ঝড় থামাতে তিনি নিজের দেয়া বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেন।
অন্যদিকে, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর বিচার নিয়ে প্রধান বিচারপতিকে জড়িয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে তুমুল আলোচনায় আসেন খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। গত শনিবার একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম মৃত্যুদ-প্রাপ্ত মীর কাসেম আলীর মামলার পুনঃশুনানি দাবি করেন। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, সেই নতুন শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ও রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এটর্নী জেনারেল অংশ নিতে পারবেন না। একই অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকও প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন। পরদিন রবিবারও সচিবালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলাকালে নিজের আগের দিনের কথার পুনরাবৃত্তি করেন কামরুল ইসলাম।
দেশের সর্বোচ্চ বিচার বিভাগের প্রধান সম্পর্কে এ ধরনের নেতিবাচক ও অসম্মানজনক বক্তব্যের পর এ দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও সর্বত্র এমনকি খোদ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগেও সমালোচনা শুরু হয়। একই সঙ্গে এ বক্তব্যের পর সরকারি দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সন্দেহের তালিকায় উঠে এসেছেন খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম। মীর কাসেমের বিচার নিয়ে  প্রধান বিচারপতিকে জড়িয়ে তিনি কেন বিতর্কিত মন্তব্য করতে গেলেন, সে উত্তর খুঁজছেন সবাই। তার এ বিতর্কিত বক্তব্য ঘরে-বাইরে সমালোচিত হচ্ছে। মানবতাবিরোধী বিচার নিয়ে আইনমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি ও এটর্নী জেনারেলের বিরুদ্ধে বিষোদগার ও প্রতিপক্ষ বানিয়ে খাদ্যমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যও গ্রহণ করেনি আওয়ামী লীগের কোনও মহল। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এ সব তথ্য জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, অবসরের পরে বিচারপতিদের রায় লেখা যাবে কি যাবে না, এ নিয়ে প্রধান বিচারপতি ও অবসরে যাওয়া বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের মধ্যে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, তার সমাধানে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে উদ্যোগ নেয়া হয়। সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই দুই মন্ত্রী নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন, যা সরকার ও দলের জন্য অস্বস্তিকর।
এদিকে, গত সোমবার মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলামকে সতর্ক করেছেন, ধমক দিয়েছেন; এমন খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হলে তার (কামরুল) প্রতি দলীয় নেতাদের সন্দেহ-ক্ষোভ আরও তীব্র হয়। দলের অনেক শীর্ষ নেতা প্রধানমন্ত্রীর মুখ খোলার পরপর খাদ্যমন্ত্রীকে ‘বেনিফিশিয়ারি’ বলেও অভিযুক্ত করতে দ্বিধা করছেন না। আপিল বিভাগের রায়ের আগে সরকারের একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রী হয়েও মানবতাবিরোধী অপরাধী মীর কাসেমকে নিয়ে কেন কামরুল এমন বিতর্কিত বক্তব্য দিতে গেলেন সেই উত্তর খুঁজছেন সবাই।
শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, এডভোকেট কামরুল ইসলামের বক্তব্যে বিশেষ কোনও ‘মিশন’ রয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপিল বিভাগের রায়ের মাত্র দিনকয়েক আগে ধূম্রজাল সৃষ্টি করার মতো বক্তব্য খাদ্যমন্ত্রী কেন দিলেন তা তারা ভেবে পাচ্ছেন না। তাছাড়া কামরুলের এ বিষয়ে কথা বলার এখতিয়ারও নেই। তাদের দৃষ্টিতে উচ্চ আদালতের রায়ের আগে মীর কাসেম আলীকে নিয়ে তার বক্তব্য অমার্জনীয়। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন শীর্ষ সারির নেতারা।
আওয়ামী লীগের একজন সিনিয়র নেতা বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধী মীর কাসেম আলীর পক্ষ  থেকে বিচার ঠেকানোর অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। তাই এ নিয়ে কৌশলী রাজনৈতিক চাপ তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু দুই মন্ত্রী যেভাবে প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করেছেন, তাতে মনে হতে পারে সরকার বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের মনোভাব বুঝে আগেও বিভিন্ন ইস্যুতে বক্তব্য দিয়ে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন। তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক কিছু না ভেবে হাওয়ায় গা ভাসিয়েছেন। এটা প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষুব্ধ করেছে এবং মন্ত্রী সভার বৈঠকে তিনি তা প্রকাশও করেছেন।
এদিকে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের দুই সদস্য বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ার পরই গম কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলেন কামরুল। তবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ক্ষমা করেও দেন। এবার তিনি আরও বড় অপরাধ করেছেন। ওই দুই নেতা আরও বলেন, সরকারকে বেকায়দায় ফেলার মতো বিভিন্ন সময়ে অনেক অপ্রয়োজনীয় কথাও বলেছেন কামরুল, যা সরকারের ও দলের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বিষয়ে কথা বলে প্রধান বিচারপতি ও এটর্নী জেনারেলকে নিয়ে খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সরকারের ভাবমর্যাদা নষ্ট করেছে।
অপরদিকে ওই গোলটেবিল বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, প্রধান বিচারপতি যদি উন্মুক্ত আদালতে এমন কথা বলে থাকেন তাহলে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে তার এটা বোঝা উচিত। এটা করে থাকলে এটার প্রতিকার কী-এটা তিনি নিশ্চয় জানেন। হয় তিনি এটা প্রত্যাহার করে নিন, আর না হয় প্রধান বিচারপতির আসনে থাকার সুযোগ কতটুকু আছে তা তার ওপরই রাখতে চাই। এছাড়াও, দুই মন্ত্রী ওই আলোচনা সভায় এমন অনেক মন্তব্য করেন যা আদালত অবমাননাকর পর্যায়ে পড়ে বলে অভিজ্ঞমহল মনে করে। মন্ত্রীদের এ বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর সর্বোচ্চ আদালত তাদের এ বিষয়ে স্বশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে রুল জারি করেন।
সর্বোচ্চ আদালতের রুল জারির পর এ বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তবে সময় হলে এসব বিষয়ে তিনি ব্যাখ্যা দেবেন বলে জানান। বর্তমানে তিনি বিদেশ সফরে আছেন।
প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর বিতর্কিত বক্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, দায়িত্বশীল সবাইকে আরও দায়িত্বান হতে হবে। যে কোনও বিষয়ে যে কেউ কথা বলবেন, এমন প্র্যাকটিস ঠিক নয়। আমাদের সবাইকে কথার চেয়ে কাজের প্রতি আরও যতœবান হতে হবে।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ বলেন, বিচারাধীন বিষয়ে কোনো কথা বলা ঠিক নয়। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত মানবতাবিরোধী অপরাধের যেসব বিচার হয়েছে, তা সফলতার সাথে হয়েছে, সুন্দরভাবে হয়েছে, আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে। এটা আদালতের বিষয়। আমরা মনে করি, এ নিয়ে কারও কোনো মন্তব্য করা উচিত হবে না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে এডভোকেট কামরুল ইসলাম যা বলেছেন, এটা সরকারের কথা নয়। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তা পরিষ্কার করেছেন।
অতীতের ভুল-শুদ্ধ নিয়ে কাউকে কোনও কথা না বলার পরামর্শ দিয়ে হানিফ বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন। তারা স্বাধীনভাবে কাজ করবে; এটাই জাতির প্রত্যাশা। সব বিষয়ে সবাইকে কথা চালাচালি না করারও পরামর্শ দেন তিনি।
ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা মনে করেন মন্ত্রীদের অতিকথনে সরকার বিব্রত হয়, তাদেরও উচিত এসব বক্তব্য থেকে বিরত থাকা। তাতে উভয়েরই সম্মান বজায় থাকবে।
এ বিষয়ে ডেমরা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহফুজুর রহমান মোল্লা শ্যামল বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশজুড়ে উন্নয়নে কাজ করে দেশে-বিদেশে যখন প্রশংসা কুড়াচ্ছেন, তখন মন্ত্রীদের উচিত এসব উন্নয়ন জনগণের কাছে তুলে ধরা এবং বিতর্কিত মন্তব্য থেকে বিরত থাকা। তিনি বলেন, এমনিতেই বিএনপি-জামায়াত সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় মন্ত্রী-এমপি এবং তৃণমূলের সকল নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে বাদ দিয়ে নতুন বেঞ্চ গঠন করে মীর কাসেম আলীর আপিল পুনরায় শুনানির দাবি জানিয়েছিলেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। গত শনিবার তিনি এক গোলটেবিল আলোচনায় এ দাবি জানান। ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি প্রকাশ্য আদালতে বলছেন, প্রসিকিউশন এবং তদন্তটিমকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত। প্রসিকিউশন মামলা নিয়ে রাজনীতি করছে। তার বক্তব্যে এই মামলার রায় কী হবে আমি অনুধাবন করতে পারছি। এই মামলায় আর মৃত্যুদ- দেয়ার আর কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, আমি যেটা বুঝেছি, প্রধান বিচারপতি এ থেকে বের হতে পারবেন না। হয় খালাস দিতে হবে, না হয় সাজা কমিয়ে দিতে হবে অথবা মামলা পুনর্বিচারে পাঠাবেন। আর মৃত্যুদ- বহাল রাখলে লোকজন বলবে সরকার চাপ দিয়ে এটি করিয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রীর এ বক্তব্য নানা মহলে সমালোচনার ঝড় তোলে। মীর কাসেম আলীর কী হবে এ নিয়ে সন্দেহ-সংশয় দানা বাঁধে সর্বস্তরের মানুষের মনে। আওয়ামী লীগের ভেতরেও চরম প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। মীর কাসেম আলীর রায়ের আগে কামরুল ইসলামের এ বক্তব্যের হেতু খুঁজতে থাকেন দলের নেতারাই। মীর কাসেম আলীর রায় কী হবে এমন অনিশ্চয়তা নিয়ে অপেক্ষা করতে হয় সবাইকে। শেষ পর্যন্ত গত মঙ্গলবার আপিল বিভাগ মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদ- বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন।



 

Show all comments
  • Masud ১২ মার্চ, ২০১৬, ১:২৪ পিএম says : 0
    excess every thing is bad
    Total Reply(0) Reply
  • উর্মি ১২ মার্চ, ২০১৬, ১:২৫ পিএম says : 0
    সবার সব বিষয় কথা বলা উচিত না।
    Total Reply(0) Reply
  • ইব্রাহিম ১২ মার্চ, ২০১৬, ১:২৭ পিএম says : 0
    এরা সুস্থ কিনা সেটা নিয়ে আমার মাঝে মাঝে সন্দেহ হয়।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তিন মন্ত্রীর অতিকথনে বিব্রত সরকার
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ