বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফরিদপুরের সালথায় গ্রাম্য দুদলের দফায় দফায় সংঘর্ষে মহিলাসহ কমপক্ষে ২৫জন আহত বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের মোড়হাট, আগুলদিয়া ও জয়ঝাপ গ্রামে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষচলাকালে অন্তত ১০টি বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েক রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, জমিজমা সংক্রান্ত, গ্রাম্য দলাদলি ও স্থানীয় প্রভাব বিস্তার নিয়ে একই গ্রামের বাসিন্দা শাজাহান খান ও তার প্রতিবেশী আনোয়ার খানের সাথে দীর্ঘদিন ধরে রিবোধ চলে আসছিল।
এরই জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সাজাহান খান এর সমর্থক মোড়হাট গ্রামের কসিম মৃধার উপর অতর্কিত হামলা করে আনোয়ার খান এর সমর্থকেরা। এই হামলার খবর এলাকায় মুহুর্তের ছড়িয়ে গেলে উভয় গ্রুপের শতশত লোকজন দেশীয় অস্ত্র ঢাল, কাতরা, ভেলা, শরকি, টেটা ও ইটের টুকরো নিয়ে স্থানীয় মাঠের মধ্যে জড়ো হয়। একপর্যায় তারা রাতেই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে আবার সকাল থেকে উভয় পক্ষ জড়ো হতে থাকে দেশীয় এই অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। পরে এ সংঘর্ষে আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অংশ নেয়। সংঘর্ষের সময় ১০টি বসতঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে উত্তেজিত সংঘর্ষকারীরা। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।
খবর পেয়ে সালথা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষকারীদের ইটের আঘাতে ও হামলায় মহিলাসহ সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের অন্তত ২৫জন আহত হয়। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩জন আশংকা জনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সালথা থানার চার্জ অফিসার গোলাম মোন্তাছির মারুফ বলেন, খবর পেয়ে আমিসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ও ১টি সাউন্ড গ্রেনেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এলাকা এখন শান্ত অবস্থা বিরাজ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।