Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ভাংগা উপজেলার চুমুরদী ও ঘারুয়া ২ ইউনিয়নে ব্যাপক সংঘর্ষ, লুটপাট ৩০ দোকান ভাংচুর

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ২:৫২ পিএম

 

ফরিদপুর ভাংগা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের মক্রমপুট্টি গ্রামের সাথে, চুমুরদী ইউনিয়নের পূর্ব সদরদী গ্রামের সাথে পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে প্রায় আধ ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে ৩০ টি দোকান ভাংচুর সহ লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) মক্রমপট্টি ও চাঁনপট্টি গ্রামে বিগত ৪/৫ দিন আগের সৃষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এই
লুটাপাট,হামলা,ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

জানাযায়,পুর্বসদরদির এলাকার একটি কিশোর গ্যাং আধিপত্য বিস্তার করতে ৪/৫ দিন আগে ঘারুয়ার নদীর পুর্বপাড়ে প্রথমে গন্ডোগোল সৃষ্টি হয়। নেপথ্যে মাদক বিকিকিনি।

এরই ধারাবাহিতায়, পুর্বপরিকল্পিতভাবে ভায় গতকাল শনিবার,
প্রায় তিন শতাদিক লোক জন জোড় হয়ে দেশীয় অস্র ডাল, কালি, কাতরা, রামদা, নিয়ে পূর্ব সদরদী গ্রামের ঘারুয়া ব্রীজ সংলগ্ন পূর্ব সদরদী ভোরের বাজারের হামলা করে। এ সময় হামলাকারীদের হাতে
প্রায় ২৫/৩০ টি দোকান ঘর ভাংচুর ও লুটপাট ঘটনাও ঘটে বলে ব্যাবসায়ীদের দাবি। এতে প্রায় ৫/৭ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে। এ দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের

খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। এঘটনায় এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। আবার সংঘর্ষের আতঙ্কে বাজার ব্যাবসায়ীরা।

উভয় পক্ষের দাবী, উভয় এলাকার কিছু উঠতি বয়সী যুক, যারা এলাকায় কিশোর গ্যাং নামে পরিচিত। ব্যাবসায়ী আলামীন, এলাকাবাসী করিম মিয়া, জোবেূা খাতুন গনমমাধ্যম কে বলেন, এলাকার কিছু বকাটের জন্য দীর্ঘ দিনের দুই ইউনিয়ন এর মধ্যে ভাল সম্পর্ক দিন দিন নষ্ট হয়ে আসছে।

সরেজমিন এলাকা ঘুরে জানা গেলো, নদীর পুর্ব ঘারুয়া ইউপি পারে ২৪ হাজার ভোটার এবং পশ্চিম পাড়ে চুমুরদি ইউপি মাত্র ৮ পাঁশ শত হাজার ভাটার। ৭ হাজারের মধ্যে কতিপয় ২০/৩০ জন যুবক কাম কিশোর গ্যাং মাদক দ্রব্য বিকিনি নিয়ে ২৭ হাজার ভোটারদের মধ্যে ৫০/৬০ জন্য কিশোর গ্যাংয়ের উপর জুলুম অত্যাচার করে সটকে করে।

পরে পুর্বপাড়ের গ্রামবাসী এক হয়ে যখন ২০/৩০ জন কিশোর গ্যাংয়ের প্রতিশোধ নিতে দলবদ্ধ ভাবে পশ্চিম পাড়ে আসে ( সকাল বাজার) ঠিক তখনই প্রতিশোধের ঘটনাটি রূপ নেয় গ্রাম্য দাঙ্গায়।

দুই পাড়ের এলাকা বাসীর দাবী দুই ইউনিয়নের ঐসব বকাটেদের নাম ঠিকা নিয়ে তাদের আইনের আওতায় আনলে দুটি ইউনিয়নের শান্তি ফিরে আসবে। অন্যথায় যে কোন সময় ঘটতে পারে বহু হতাহতের ঘটনা।

উল্লেখ্য, ঘারুয়া ইউনিয়নের মক্রমপট্টি ও চানপট্টির গ্রামের একমাত্র যাতায়াতের সড়কটি মাদক বিকিনি এবং সেবনের নিরাপদ স্হান মনে করে মাদকসেবীরা। এই মাদক নিয়ে প্রতি বছর দুই ঘটনা ঘটবেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ