মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউক্রেন সংকট হচ্ছে একুশ শতকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি নতুন ফাঁদ, নতুন স্নায়ুযুদ্ধের ষড়যন্ত্র। এর লক্ষ্য হচ্ছে রাশিয়াকে দুর্বল করা আর ইউরোপকে নিয়ন্ত্রণ করা। আর তা করা গেলে সহজে বিশ্বে নিরঙ্কুশ আধিপত্য বজায় রাখা যাবে।
বিগত কয়েক দশক ধরেই রাশিয়াকে বিভক্ত ও দুর্বল করে দেওয়ার প্রয়াস চালিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রথমে শিকার হয় সোভিয়েত ইউনিয়ন। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন পর, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ন্যাটো, পূর্বমুখী সম্প্রসারণের পাঁচ দফা ব্যবস্থার মাধ্যমে রাশিয়ার নিরাপত্তার প্রতি হুমকি সৃষ্টি করে এবং নানান অজুহাতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে থাকে। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শাসনের অবসান ঘটাতে এবং রাশিয়ায় একটি ‘কালার লেভুল্যুশান’ সৃষ্টির জন্য সামাজিক পরিস্থিতি তৈরি করতে কাজ করতে থাকে।
যদিও ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতির জটিল ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে রয়েছে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি একটি ফাঁদ, যা বহু বছর ধরে খনন করা হচ্ছে। ওয়াশিংটন ধারাবাহিকভাবে ইউক্রেনে দুটি ‘কালার রেভুল্যুশান’ সৃষ্টি করেছে এবং ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারণের যৌথ প্রচেষ্টায় রাশিয়াকে ধাপে ধাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্নায়ুযুদ্ধের খেলার দিকে ঠেলে দিয়েছে ও দিচ্ছে। ২০১১ সালের নভেম্বর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র বলে এসেছে যে, রাশিয়া ইউক্রেনের সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ ঘটাচ্ছে ইউক্রেনে হামলা চালানোর জন্য। এটা স্পষ্টতই একটি উস্কানি।
ইউক্রেন পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় যুক্তরাষ্ট্র তার ইউরোপীয় মিত্রদের সাথে নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। রাশিয়াকে দুর্বল করতে এবং এর রাজনৈতিক নেতৃত্বে পালাবদল ঘটাতে চেষ্টা করছে তারা। তা ছাড়া, ইউরোপকে একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে ইউরোপের কৌশলগত অবস্থান দুর্বল হয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষে চীন যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি টার্গেট। চীন বারবার জোর দিয়ে বলছে যে, এ পরিস্থিতি বেইজিংয়ের কাম্য নয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা দেশগুলো এই ইস্যুতেও চীনকে আক্রমণ করার সুযোগ নিয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞায় অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্র চীনের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে। এটা স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা বৈ আর কিছু নয়। সূত্র: সিআরআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।