মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়া থেকে অস্ত্র আমদানি কমাক ভারত। ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে এভাবেই নয়াদিল্লিকে কড়া বার্তা দিল আমেরিকা। মঙ্গলবার মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন স্পষ্ট ভাষায় জানান, আমেরিকা চাইছে রাশিয়া থেকে অস্ত্র কেনা কমিয়ে দিক ভারত।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের জেরে সম্প্রতি তুঙ্গে পৌঁছেছে ভারত ও আমেরিকা মধ্যে চলা কূটনৈতিক টানাপোড়েন। ওয়াশিংটনের দাবি, মস্কোর সঙ্গ ত্যাগ করে যুদ্ধের বিরোধিতায় সরব হোক নয়াদিল্লি। রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি নিয়ে মোদি সরকারের কাছে ঘোর আপত্তি জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। মার্কিন ফরমান না মানলে ভবিষ্যতে ভারত যে সমস্যার মুখে পড়তে পারে সেই ইঙ্গিতও দিয়েছে দেশটি।
এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেন, “আমাদের লাগাতার চেষ্টা করে যেতে হবে যাতে ওরা (ভারত) বুঝতে পারে যে রাশিয়া থেকে অস্ত্র আমদানি ওদের (ভারতের) স্বার্থের পরিপন্থী।” মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য জো উইলসনের প্রশ্নের প্রেক্ষিতে অস্টিন ইঙ্গিতে জানান, যে ধরনের রুশ অস্ত্র ভারত কিনছে বা ভবিষ্যতে কিনতে চাইছে তেমন অস্ত্র চাইলে আমেরিকা জোগান দিতেই পারে। বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়াকে আরও চাপে রাখতে এবার ভারতের অস্ত্রের বাজারে আরও জোরদার হানা দিতে তৈরি আমেরিকা।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে রাশিয়ার উপর চাপানো মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মানতে নারাজ ভারত। এপর্যন্ত ঐতিহাসিক বন্ধু রাশিয়ার পাশেই দাঁড়িয়েছে দেশ। শুধু তাই নয়, মার্কিন রোষ হেলায় উড়িয়ে রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল আমদানি করছে মোদি সরকার। একইসঙ্গে, আমেরিকা ও ইউরোপকে নয়াদিল্লি অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে যে, দেশের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে বিদেশনীতি তৈরি করা হয়। তাই কোন দেশ থেকে জ্বালানি কেন হবে, তা নিয়ে কোনও তৃতীয়পক্ষের হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য, ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রায় ৭০ শতাংশ হাতিয়ার তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন বা রাশিয়া থেকে কেনা। বিশ্লেষকদের মতে, ভবিষ্যতেও ভারত যে মস্কোর আধুনিক অস্ত্রের প্রতি ঝুঁকে রয়েছে তা স্পষ্ট। বিশেষ করে, রাশিয়ার অত্যাধুনিক এস -৪০০ মিসিলে ডিফেন্স সিস্টেম নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী ভারতীয় ফৌজ। আর এতেই ক্ষুব্ধ আমেরিকা। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।