পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলে দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলার দায়ে ৬ ছাত্রলীগ কর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে হল প্রশাসন। গতকাল সোমবার হল প্রভোস্ট প্রফেসর ড. আব্দুল বাছির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মাসফিউর রহমান, ক্রিমিনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী সফিউল্লাহ সুমন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী নাইমুর রশিদ নাঈম, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির আল হাসান, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ফিরোজ আলম অপি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মারুফ।
এর আগে গত ২৬ মার্চ সকাল আটটায় একই হলের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্স ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী আখলাকুজ্জামান অনিককে রুমে (প-২০১০) গিয়ে অতর্কিত হামলা করেন বহিষ্কৃতরা। নৃশংস এ হামলায় মাথায় আঘাত পায় অনিক। মাথায় পড়ে ৭ সেলাই। এ হামলায় তাঁর আরেক রুমমেট রাজীবও গুরুতর আহত হন।
এ ঘটনায় হামলাকারীদের দায়ী করে হল প্রভোস্ট বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন ভুক্তভোগী অনিক। এরই প্রেক্ষিতে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে হল প্রশাসন। তারই ধারাবাহিকতায় তদন্ত কমিটির তদন্ত ও প্রমাণ সাপেক্ষে গতকাল তাঁদের বিরুদ্ধে এ বহিষ্কারাদেশ দেন হল প্রশাসন।
হল প্রভোস্ট স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৬ মার্চ বিজয় একাত্তর হলের পদ্মা ব্লকের ২০১০ নম্বর কক্ষের দুইজন আবাসিক শিক্ষার্থী মো. আখলাকুজ্জাম অনিক ও মো. রাজীব আহমেদের ওপর নৃশংস হামলা ও মাথায় আঘাত করার লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়।
পরবর্তীতে এ কমিটি বহিষ্কৃত ছয়জনের সংশ্লিষ্টতার দালিলিক প্রমাণ পেয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয় তথা হলের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কর্মকাণ্ড ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী। তদন্ত কমিটি সুপারিশের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের গত রোববার থেকে বিজয় একাত্তর হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।
জানা যায়, হল থেকে আজীবন বহিষ্কার হওয়া এসব শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের বিজয় একাত্তর হল সভাপতি সজিবুর রহমান সজীব ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী।
অ্যাকাডেমিক বহিষ্কারের সুপারিশ করা হবে কিনা জানতে চাইলে হল প্রভোস্ট প্রফেসর ড. আব্দুল বাছির ইনকিলাবকে বলেন, আমরা আমাদের সর্বোচ্চটুকু করেছি। এখন বিশ্ববিদ্যালয় যদি আমাদের থেকে কোনো সাহায্য চায় তবে আমরা সেটা করব। কিন্তু অ্যাকাডেমিকভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ আমরা নিজ থেকে করব না।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।