মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার বৃহস্পতিবার “দ্য কাশ্মীর ফাইলস” ছবি নিয়ে প্রথম বারের জন্য মুখ খুললেন। তিনি বলেন এ ছবি দেশে মিথ্যাচার এবং দেশের মধ্যে এক বিষাক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করছে। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, এই জাতীয় সিনেমাকে ছাড়পত্র দেওয়া উচিত হয়নি। পাওয়ার তার দলের দিল্লি ইউনিটের সংখ্যালঘু বিভাগের এক ভাষণে বক্তব্য রাখাকালীন সময়ে দ্য কাশ্মীর ফাইলস নিয়ে তার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি বলেন, এ জাতীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া উচিত ছিল না। তবে এটিকে ট্যাক্স ছাড় দেওয়া হয়েছে এবং যারা দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য দায়ী তারা লোকেদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টিকারী চলচ্চিত্রটি দেখতে উৎসাহিত করছে।
সেই সঙ্গে তিনি বলেন, মোদি সরকারের উচিত কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পুনর্বাসনের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা। সংখ্যালঘুদের সম্পর্কে তাদের মনে ক্ষোভ ছড়ানো উচিত নয়। সেই সঙ্গে সিনেমার প্রচারের জন্য বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন তিনি। পাওয়ার বলেন যে, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের প্রকৃতপক্ষে উপত্যকা থেকে পালাতে হয়েছিল, কিন্তু তিনি উল্লেখ করেন যে, মুসলমানদেরও একইভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। পাকিস্তানী সন্ত্রাস গোষ্ঠীগুলি কাশ্মীরি পণ্ডিত এবং মুসলমানদের উপর হামলার জন্য দায়ী। কাশ্মীর বিতর্কে জওহরলাল নেহরুকে টেনে আনার জন্যও বিজেপির সমালোচনা করেছেন পাওয়ার। তিনি বলেন, ভিপি সিং সরকারকে বিজেপি সমর্থন করেছিল। মুফতি মোহাম্মদ সাঈদ ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জগমোহন, যিনি পরে দিল্লি থেকে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল ছিলেন।
এর আগে “দ্য কাশ্মীর ফাইলস” ছবি নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেছিলেন, কাশ্মীরি পণ্ডিতরা ফিল্ম চান না, তাঁদের পুনর্বাসন হোক সেটাই চান তারা। সেই সঙ্গে তিনি ট্যাক্স ছাড়ের প্রশ্ন তুলে সরাসরি বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, বিজেপির উচিত সিনেমার পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীকে ইউটিউবে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমা আপলোড করতে বলা, তাতে করে সকলেই এই সিনেমা বিনামূল্যে দেখতে পাবেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বিহার, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, গুজরাট, ত্রিপুরা, গোয়া এবং উত্তরাখন্ডসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে ইতিমধ্যেই করমুক্ত করা হয়েছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’কে।
রিলিজ করার পরই শোরগোল ফেলে দিয়েছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। বিতর্ক-সমালোচনা পেরিয়ে বক্স অফিস ব্যবসায় এখনও দৌড়চ্ছে। খোদ বিবেক আগ্নিহোত্রী এই ছবির সাফল্যকে ‘সুনামি’বলে আখ্যা দিয়েছেন। ২৫০ কোটির মাইল ফলক ছুঁতে মরিয়া ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। তবে রাজনৈতিক শিবিরেও এ ছবি নিয়ে সমালোচনার অন্ত নেই। বিরোধী দলগুলোর কথায়, ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’কে পুরোপুরি প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে গেরুয়া শিবির। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।