বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
যশোরের মণিরামপুরে নিখোঁজের ৪ দিন পর ইকরামুল হোসেন (১৯) নামে এক কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ইকরামুল মণিরামপুর উপজেলার মশ্বিননগর ইউনিয়নের ভরতপুর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মফিজুর রহমানের ছেলে।
আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে উপজেলার মদপুর মাঠের নিমতলা খাল থেকে বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে যশোর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। হত্যার পর বস্তাবন্দি অবস্থায় সেখানে তাকে পুঁতে রাখা হয়েছিল।
এদিকে এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আমিনুর হোসেনসহ (২৮) দুজনকে আগেই গ্রেপ্তার করে পিবিআই। আমিনুর নিহত ইকরামুলের প্রতিবেশি হোসেন সরদারের ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, এক বছর আগে মাস্টার্স পড়ুয়া আমিনুরের সঙ্গে ইকরামুলের বিবাদ সৃষ্টি হয়। সেই বিবাদের জের ধরে ইকরামুলকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে আমিনুর। পরিকল্পনা অনুযায়ী ইকরামুলের বন্ধু মেহেদী তাকে ফোন করে। মেহেদীর ডাকে গত ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় মশ্বিননগর গনির মোড় এলাকায় আসে ইকরামুল। এরপর থেকেই নিখোঁজ ইকরামুল। ঘটনার চারদিন পর পিবিআইয়ের তদন্তে জানা গেলো, ইকরামুলকে খুন করে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছে।
পিবিআই যশোরের পরিদর্শক শামীম মুসা বলেন, বুধবার তাদের কাছে ইকরামুল হোসেন নামে এক শিক্ষার্থীর নিখোঁজের অভিযোগ আসে। অভিযোগে বলা হয়, ইকরামুলকে গত ২৮ তারিখ থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। তারপর থেকে পিবিআইয়ের একাধিক টিম ইকরামুলের পরিবারের সঙ্গে কথা বলি। এক পর্যায়ে এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা তার প্রতিবেশি আমিনুরকে সন্দেহ করা হয়। বুধবার দিবাগত গভীররাতে আমিনুরকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে সে ইকরামুলকে হত্যার কথা স্বীকার করে। তার দেওয়া তথ্যমতে ঘটনাস্থল থেকে নিহত ইকরামুলের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যার মূল রহস্য উদঘাটনে অভিযান চলমান রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।