Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মদ পানকারীরা ভারতীয় নন-মহাপাপী: বিহারের মুখ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০২২, ১:৫২ পিএম

ভারতের বিহার রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ হলেও বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে বিষ মদ খেয়ে। যাকে কেন্দ্র করে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। এই প্রেক্ষাপটেই বুধবার মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার বলেছেন যারা মদ পান করেন তারা ‘মহাপাপী’। পাশাপাশি সাফ জানিয়েছেন যে, বিষ মদ পানের পরে যারা মারা যায় তাদের ত্রাণ দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার দায়বদ্ধ নয়।

বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘মহাত্মা গান্ধীও মদ খাওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন। যারা তার নীতির বিরুদ্ধে যাচ্ছেন তারা মহাপাপি এবং অযোগ্য। আমি এই লোকদের ভারতীয় মনে করি না।’ নীতিশের কথায়, ‘মদ খাওয়া ক্ষতিকারক তা জেনেও লোকেরা তা সেবন করে এবং এইভাবে তারাই তাদের পরিণতির জন্য দায়ী, রাজ্য সরকার নয়।’ নীতিশ কুমার তোপ দেগে বলেছেন, ‘এটা তাদের দোষ। তারা জেনেও মদ সেবন করে যে এটি বিষাক্ত হতে পারে।’

বিহার বিধানসভায় মদ নিষিদ্ধকরণ এবং আবগারি (সংশোধন) বিল ২০২২ পাস হয়েছে। বিলটি এখন গভর্নরের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষায়। সেখানে উল্লেখ, প্রথমবারের অপরাধীরা জরিমানা জমা দেওয়ার পরে ডিউটি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে জামিন পাবেন। যদি কোনও ব্যক্তি তা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাকে এক মাস জেল খাটতে হবে।

২০১৬ সালে বিহারে মদ নিষিদ্ধ। কিন্তু তবুও মাঝেমধ্যেই বিষ মদ পানে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নীতিশের দাবি, অন্য়ান্য রাজ্য মদ বিক্রির আয়ে রাজকোষ ভরায়, কিন্তু বিহারে তা হয় না। রাজ্যে ২০২১ সালের শেষ ৬ মাসে ৬০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ গিয়েছে বিষাক্ত মদের দরুন। যা নিয়ে সমালোতনার ঝড় হয়ে যায়। এরপরই আবাগারি আইন কঠোর করল রাজ্য সরকার। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।



 

Show all comments
  • jack ali ৩১ মার্চ, ২০২২, ৪:৪২ পিএম says : 0
    বিভিন্ন পুজোর সময় মদপান করাকে কেন্দ্র করে ভিন্ন ধর্মীদের থেকে অামাদের ধুয়ো শুনতে হয়। ধুয়ো শুনার জন্য মূলত অামরা নিজেরাই দায়ী, কারণ দেব বিগ্রহের স্থান অতি পবিত্র। সেই পবিত্র স্থানেই অামরা মদপান করি অার অশ্লীল গানে নাচানাচি করি। যার কারণে জেনেশুনে গালি কিংবা ধুয়ো শুনার ভাগীদার হয়ে যায়। যা হোক সেই মদপান বা নেশাজাতীয় সনাতন ধর্ম সম্মত কিনা? কিংবা তা অামাদের ধর্মে বৈধ কি না তা অবশ্যই অামাদের জানা দরকার। অাসুন দেখি সেই সম্পর্কে অামাদের বৈদিক সংহিতা অার পবিত্র বেদ কি বলে? পবিত্র ঋগবেদ ৮/২১/১৪ তে বলা হয়েছে--- (বাংলা সংস্কৃত) → নকী রেবন্তঃ সখ্যায়া বিন্দসে পীয়ন্তি তে সুরস্বঃ। → য়দা কুয়োসি নদানু সমূহস্যাদিত পিতেব হূয়সে।। (সংস্কৃত) ★বঙ্গানুবাদ- তোমার নেশাকারী সঙ্গী/বন্ধু যদি সবচেয়ে বিদ্বান বা ধনীও হয় তারপরও বজ্রপাততূল্য এবং অবশ্য পরিত্যজ্য। এখানে উক্ত মন্ত্র অনুসারে বুঝা যাচ্ছে নেশাগ্রস্থ ব্যক্তি ধনী কিংবা বিদ্ধান হলেও তাকে পরিত্যাগ করা উচিত। ★-স্মৃতিশাস্ত্র মনুসংহিতার ১১/৯৪ তে স্পষ্ট বলা হয়েছে → সুরা বৈ মলমন্নানাং পাপ্মা চ মলমুচ্যতে। →তস্মাদ্বাহ্মণরাজন্যৌ বৈশ্যশ্চ ন সুরাং পিবেৎ ॥ ★বঙ্গানুবাদ- সুরা(মদ) হলো অন্নের মল, পাপকে মল শব্দে বলা যায়, এই হেতু ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য কদাচিৎ সুরাপান করিবে না যদি করে তবে উক্ত প্রায়শ্চিত্ত করিবে। উক্ত শ্লোক অনুসারে মদ পান না করার কথা বলেছে, যদিওবা করে সেহেতু প্রায়শ্চিত্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন মহর্ষি মনু। সুতরাং মদপান নিষিদ্ধ সনাতন ধর্মে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ