মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইউক্রেন ও রাশিয়ার চলমান আলোচনায় অংশ নিয়েছেন রুশ ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচও। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার (বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টা) দিকে এই আলোচনা শুরু হয়।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘বিবিসি’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তুর্কি গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদের ছবিতে দেখা যায়- রোমান আব্রামোভিচকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিনের পাশে একটি টেবিলে বসে আছেন। এসময় তিনি অনুবাদে সক্ষম একটি হেডফোন পরা অবস্থায় ছিলেন। তবে তাকে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের আলোচনার মূল টেবিলে দেখা যায়নি।
কালিন ইস্তাম্বুল হোটেলে রুশ ধনকুবের ও ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে বৈঠকের সমন্বয় করতে সাহায্য করেছেন বলে জানা গেছে।
আব্রামোভিচের উপস্থিতি ইঙ্গিত দেয় যে তিনি এখনও মধ্যস্থতার প্রচেষ্টায় জড়িত আছেন।
এদিকে, ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে শান্তি আলোচনায় অংশ নিয়ে রুশ ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচ সম্ভাব্য বিষপ্রয়োগের শিকার হয়েছেন বলে পশ্চিমা গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রোমান আব্রামোভিচের ঘনিষ্ঠসূত্রে জানা গেছে- মার্চের শুরুতে ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে শান্তি আলোচনায় অংশ নেওয়ার পর থেকেই চোখ জ্বালাপোড়া ও ত্বকে চুলকানিসহ বিষক্রিয়ার বিভিন্ন উপসর্গে ভুগছিলেন ইংলিশ ফুটবল ক্লাব চেলসির এই মালিক।
মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের’ বরাত দিয়ে এই চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ইংলিশ ফুটবল ক্লাব চেলসির মালিক রোমান আব্রামোভিচও এই বৈঠকে ছিলেন এবং বৈঠকের সময় সম্ভাব্য বিষক্রিয়াতে তিনি কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার পাশাপাশি আলোচনায় অংশ নেওয়া ইউক্রেনীয়রাও অসুস্থ বোধ করেন বলে জানা গেছে। মনে করা হচ্ছে, মস্কোর কট্টরপন্থীরাই আলোচনা ভেস্তে দিতে এই ‘হামলা’ চালিয়ে থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ব্রিটেনসহ পশ্চিমা দেশগুলো আব্রামোভিচের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আব্রামোভিচ পুতিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত একজন ‘অলিগার্ক’ (প্রভাবশালী ব্যবসায়ী)। আব্রামোবিচকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল যাতে এই যুদ্ধ বন্ধ করতে তিনি পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন। এই আবহে তিনি চেলসি বিক্রি করারও ঘোষণা করেন।
এদিকে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি স্থাপন করতে মস্কো থেকে কিয়েভ যাতায়ত জারি রেখেছিলেন আব্রামোভিচ।
জানা গেছে, সম্প্রতি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে একটি শান্তি আলোচনার পর আব্রামোভিচ এবং দু’জন শীর্ষ ইউক্রেনীয় কর্তা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের চোখ লাল হয়ে যায় এবং জ্বালা করতে থাকে। তাদের হাত এবং মুখ থেকে চামড়া খসে পড়তে থাকে। পরে অবশ্য আব্রামোভিচ এবং অন্যান্য ইউক্রেনীয় কর্তারা সুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। সূত্র: বিবিসি, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।