প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণের নেতৃত্বে গত ২৬ মার্চ এফডিসিতে তাদের স্টাডি রুমে সভা করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। সেই সভাকে অবৈধ উল্লেখ করে তাতে উপস্থিত ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণসহ ১১ জনকে আইনজীবীর মাধ্যমে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন জায়েদ খান। জায়েদের পক্ষে এ নোটিশ পাঠান তার আইনজীবী তানভীর হোসেন খান।
নোটিশে বলা হয়, ‘গত ২৬ মার্চ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস ও সরকারি সাধারণ ছুটির দিনে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভা আয়োজন করা হয় অসৎ উদ্দেশ্যে এবং তা সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের পুরোপুরি লঙ্ঘন।’
২৬ মার্চের সভার কার্যবিবরণী বাতিল করতে সকল নোটিশ গ্রহীতাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে এতে। একই সঙ্গে গত ১৪ মার্চ আপিল বিভাগের দেওয়া আদেশ অনুযায়ী নিপুণকে যাতে আর কোনো সভায় অংশ নেওয়ার সুযোগ না দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া এ ধরনের কার্যক্রম কেন করা হয়েছে, তার লিখিত জবাব আগামী তিন দিনের মধ্যে দিতে নোটিশ গ্রহীতাদের বলা হয়েছে। অন্যতায় আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হবে।
জায়েদ খান নোটিশটির ব্যাপারে বলেন, ‘আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছি সবসময়। অন্যদিকে তারা একের পর এক আদালত অবমাননা করেই যাচ্ছে। নিপুণ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যে মিটিং করেছে তা আদালতের রায়ের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাই নোটিশ পাঠিয়েছি।’
অপরদিকে কমিটির শিল্পী সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক বলেন, ‘কোনো নোটিশ পাইনি৷ এসব নিয়ে চিন্তাও করছি না। শিল্পীরা দায়িত্ব দিয়েছেন, কাজ করে যেতে চাই। আদালতের কোনো নোটিশ আসলে তখন অবশ্যই বিবেচনা করবো।’
নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, নিপুণ আক্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক, দফতর ও প্রচার সম্পাদক আরমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মামনুন ইমন, কোষাধ্যক্ষ আজাদ খান, কার্যনির্বাহী সদস্য অঞ্জনা, কেয়া, জেসমিন আক্তার, অমিত হাসান ও নাদের খান।
প্রসঙ্গত, ২৮ জানুয়ারি শেষ হওয়া শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে অপেক্ষা বেড়েছে। গত ২ মার্চ জায়েদ খানের পক্ষে রায় দেন হাইকোর্ট। এরপর শপথ নিয়ে চেয়ারে বসেছিলেন জায়েদ খান। তবে গত ৬ মার্চ শুনানি শেষে জায়েদ খানকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। আগামী চার সপ্তাহ এ পদে স্থিতাবস্থা থাকবে বলেও আদেশ দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের একক বেঞ্চ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।