পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্ত্রী-পুত্র-কন্যা হত্যা মামলায় আসামি মো: আলমগীর হোসেনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। গতকাল সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি আহমেদ সোহেলের অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালত রায়ে বলেছেন, আসামি আলমগীর হোসেন মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছেন। পশুর চেয়ে ঘৃণিত পন্থায় স্ত্রী ও দুই নিষ্পাপ শিশু সন্তানকে হত্যা করেছেন। তিনি সমাজের জন্য বিপজ্জনক। তাই আসামি আলমগীর হোসেন আদালতের অনুকম্পা পেতে পারেন না।
সরকারপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। আসামির পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী (স্টেট ডিফেন্স) হাফিজুর রহমান খান।
প্রসঙ্গত: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার উত্তর পাঠাকাটা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক মো: আলমগীর হোসেন পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ২০০৮ সালের ২২ জুন নিজ স্ত্রী হাফিজা বেগম, ১১ বছরের ছেলে আশরাফুল, তিন বছরের কন্যা জামিলাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় হাফিজা বেগমের ভাই মঠবাড়িয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় ২০১৬ সালে মো: আলমগীর হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। পরে তার মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। এছাড়া মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেন আসামি। এর মধ্যে ২০১৫ সালে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান আসামি আলমগীর। জামিন নেয়ার পর থেকে তিনি পলাতক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।