মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রের অর্ল্যান্ডো শহরের বিনোদন পার্কে বেড়াতে এসে প্রাণ গেল কিশোরের। মৃতের নাম টাইয়ার স্যাম্পসন। সে আদতে মিসৌরির বাসিন্দা। গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত কিশোরের পরিবারের সদস্যরা। বেড়াতে বেড়িয়ে যে এমন ঘটনা ঘটে যাবে, তা তারা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সুবিচারের দাবিতে সরব হয়েছেন কিশোরের বাবা।
Orlando Free Fall ride। মার্কিনিদের মধ্যে এবং বিদেশ থেকে ঘুরতে আসা পর্যটকদের মধ্যেও এই রাইডটি অতন্ত জনপ্রিয়। এটির উচ্চতা স্ট্যাচু অফ লিবার্টি (Statue of Liberty)-র থেকেও বেশি! স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত কিশোরের নাম টাইয়ার স্যাম্পসন (Tyre Sampson)। সে আদতে মিসৌরির (Missouri) বাসিন্দা। গত বৃহস্পতিবার পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুদের সঙ্গে ফ্লোরিডায় বেড়াতে আসে ওই কিশোর।
ওরেঞ্জ কাউন্টির (Orange County) শেরিফ জন মিনা (John Mina) জানিয়েছেন, স্রেফ আনন্দ করতেই বাকিদের মতোই Orlando Free Fall ride চড়েছিল টাইয়ার। সেখান থেকে পড়ে যায় সে। তার জেরেই পরে তার মৃত্যু হয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যা ঘটেছে, তা নিছক কোনও দুর্ঘটনা, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ফ্লোরিডার অরল্যান্ডো শহরের আইকন পার্কে গত বছরই এই নতুন রাইডটির উদ্বোধন করা হয়। দ্রুতই আমজনতার মধ্যে এই রাইড জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আর তার মধ্যেই ঘটে গেল এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা। শেরিফ জানিয়েছেন, ওই কিশোরের সঙ্গে যা ঘটেছে, তা ভয়াবহ ও মর্মান্তিক। যদিও এর জন্য কেউ দায়ী হন, তবে তাকে ছাড় করা হবে না। বৃহস্পতিবারের ঘটনার পরই দ্রুত টাইয়ারকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, চিকিৎসকদের কিছুই করার ছিল না।
এক প্রত্যক্ষদর্শী তার বয়ানে পুলিশকে জানিয়েছেন, রাইড শুরু হওয়ার আগে সকলকেই সেফটি বেল্ট দিয়ে তার আসনের সঙ্গে ভালো করে বেঁধে দেয়া হয়। কিন্তু, টাইয়ারের বেল্টে হয়তো কোনও সমস্যা ছিল। দেখে মনে হচ্ছিল, প্রবল বেগে রাইডটি চালু হওয়ার পরই নিজের আসন থেকে হড়কে নীচে পড়ে যায় ওই কিশোর। অত উঁচু থেকে নীচে পড়লে যে কারওরই বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
ওই প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তিনি একটা ভয়ঙ্কর তীব্র শব্দ শুনেছিলেন। টাইয়ার যে তার আসন থেকে ধড়াম করে নীচে এসে পড়েছিল, এই শব্দ তারই ছিল বলে জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। তার দাবি, জীবনে কখনও এমন আওয়াজ শোনেননি! ঘটনাস্থলে উপস্থিত আর এক মহিলা জানিয়েছেন, টাইয়ার উপর থেকে নীচে উপুড় হয়ে পড়েছিল। সে কোনও সাড়া দিচ্ছিল না। তাকে দেখেই মনে হচ্ছিল, তার হাত, পা ভেঙে গিয়েছে। সেই সময় কেউ একজন তার পাল্স পরীক্ষা করে দেখেছিলেন। কিন্তু, তাতে স্পন্দনের বিন্দুমাত্র চিহ্ন ছিল না!
এদিকে, এই ঘটনার পরই সোশাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন টাইয়ারের বাবা। তার প্রশ্ন, কেন তার ছেলের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটল? কারা এর জন্য দায়ী? আর কারও সঙ্গে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে, সেই দাবিও জানিয়েছেন তিনি। সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।