মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউক্রেনের বিতর্কিত রাজনীতিবিদ ইগর কোটভিটস্কির স্ত্রী আনাস্তাসিয়া কোটভিটস্কি সীমান্ত অতিক্রম করে ইউরোপে প্রবেশ করার সময় ধরা পড়েছেন। ডলার এবং ইউরো মিলিয়ে বিপুল অর্থ ইউক্রেন থেকে পাচার করতে গিয়ে হাঙ্গেরিতে আটক হন। তিনি কয়েকটি স্যুটকেসে কাপড় রাখার মতো অত্যন্ত নিখুঁতভাবে ২৯ মিলিয়ন ডলারও ইউরো রাখেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৫০ কোটি টাকা।
ডলার এবং ইউরো মিলিয়ে এই বিপুল অর্থ ইউক্রেন থেকে পাচার করা হয়েছে বলেও আনাস্তাসিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তিনি ইউক্রেনের বিশিষ্ট বিত্তশালী তথা বিতর্কিত সাবেক সংসদ সদস্য ইগর কোটভিটস্কির স্ত্রী। অর্থ পাচার করার সময় তা হাঙ্গেরির আবগারি দফতরের নজরে পড়ে বলেও জানা গেছে।
এই বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা নিয়ে একটি সন্দেহভাজন ছবি ইতোমধ্যেই ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ থেকে বড় অঙ্কের অর্থ পাচারের চেষ্টা করার জন্য আনাস্তাসিয়ার বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে কিয়েভের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
কিয়েভের অন্য এক ব্যবসায়ী সেয়ার খুশুতভ এই অর্থ পাচারের বিষয়টি জনসমক্ষে নিয়ে আসেন। তবে, ইগর জানান যে, তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন এবং সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য দেশ ছাড়ছেন। তিনি এই বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে যাওয়ার কথাও অস্বীকার করেন।
নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার আগে ইগর বলেন, ‘আমার সমস্ত অর্থ ইউক্রেনের ব্যাঙ্কে আছে। আমি কিছুই বের করিনি’। ইগরের প্রথম পক্ষের মেয়েও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে যার বিরুদ্ধে অবিযোগ সেই আনাস্তাসিয়া এ বিষয়ে বিশেষ কোনও মন্তব্য করেননি। আনাস্তাসিয়া বিতর্কিত দিনে নিজের মা এবং হাঙ্গেরির অন্য দুই পুরুষের সঙ্গে ভ্রমণ করেছিলেন বলেও জানা গেছে।
আনাস্তাসিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তিনি ইউক্রেনের ভিলক চেকপয়েন্ট দিয়ে প্রস্থান করার সময় এই বিপুল পরিমাণ টাকার কথা জানাননি। কিন্তু পরে হাঙ্গেরিতে পৌঁছে অর্থ নিয়ে আসার কথা জানান। ইউক্রেনে ইতোমধ্যেই গুজব উঠেছে যে, কিয়েভ-মস্কো সঙ্ঘাতের আবহে ইউক্রেনের বিত্তশালীরা নিজেদের অর্থ নিয়ে বিদেশে পালাতে চাইছেন।
ইগর ইউক্রেনের পারমাণু শক্তি দ্বারা চালিত ব্যবস্থাগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন। এছাড়াও তিনি ইউক্রেনে ইউরেনিয়ামের মজুত করার বিভিন্ন বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করেন। কিন্তু বর্তমানে রাশিয়া এই মজুতের বেশ খানিকটা দখল করেছে। ইউক্রেনের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর্সেন অ্যাভাকভের সঙ্গেও তার ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক আছে।
অপরদিকে সীমান্তের ভিলক চেকপয়েন্টের সীমান্তরক্ষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো হবে বলেও জানা গেছে। কারণ মনে করা হচ্ছে যে, অর্থ পাচার করার বিষয়ে দায়িত্বরত সীমান্তরক্ষীরা অবগত ছিলেন। সূত্র : ডেইলি মেইল, দ্য টাইমস ইউকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।